তনুর পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ময়নামতি সেনানিবাসের অভ্যন্তরে নিহত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের ইতিহাস সন্মান শ্রেনীর ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু’র পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। প্রথম বিভাগ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়া পরীক্ষায় সে ২.৮৩ পয়েন্ট পায়।
শুক্রবার নিহতের ভাই রুবেল এই তথ্য জানান সাংবাদিকদের। এসময় তিনি আরো বলেন,পরীক্ষা পাশের খবরে আনন্দ পেলেও যার ফলাফল আমরা পেলাম তার অনুপস্থিতি আমাদের কষ্ট আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
নিহত তুনু’র বড়ভাই আনোয়ার হোসেন রুবেল জানান,সোহাগী জাহান তনু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের ইতিহাস সন্মান শ্রেনীর ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথেও সে জড়িত ছিল। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় সে অংশগ্রহণ করেছিল। গত ৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়। ঘোষিত ফলাফলে সোহাগী জাহান তনু ২.৮৩ পয়েন্ট পায়। পরীক্ষার অল্প কিছুদিন পর ২০ মার্চ রাতে ময়নামতি সেনানিবাসের অভ্যন্তরে কালো পানির ট্যাংক সংলগ্ন এলাকার ঝোপ থেকে তনু’র লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। এদিকে এই ফলাফলে পরিবারের সদস্যদের মাঝে আনন্দ আসলেও নিহতের পরিবার তার হত্যাকান্ডের দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাসেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী কোন কুলকিনারা করতে না পারায় হতাশ। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় নিহতের মা আনোয়ারা বেগম বলেন,আমরা সর্বহারা। বৃহস্পতিবার রাতে তনু’র পরীক্ষার ফল জেনে নামাজ পড়ে কেঁদেছি। তনু ইতিহাসের ছাত্রী ছিল,আজ তনু মরে ইতিহাস হয়ে গেছে। হত্যাকারীরা অনেক বেশী শক্তিশালী। আমরা মনে হয় বিচার পাবো না।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাসার পাশের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা। ওই দিন অজ্ঞাতদের আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন। গত ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ জেলার মুরাদনগরের মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ৪ এপ্রিল দেওয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ। গত ১৬ মে তনুর কাপড়ে তিন পুরুষের শুক্রানু পাওয়া যাওয়ার খবর সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আবারও আলোচনায় উঠে আসে প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন। ১২ জুন দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনেও তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকার কথা বলা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশেরবিস্তারিত পড়ুন
টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দেন স্বামী, অতঃপর…
কুমিল্লায় ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলেবিস্তারিত পড়ুন