তবুও সৌম্যর কাঁধে মাশরাফির নির্ভরতার হাত
মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশের এই তরুণ তুর্কীর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে ব্যাটিং পরিসংখ্যান। ২০ ওয়ানডেতে ৪০.২২ গড়ে তার রান ৭২৪।
সর্বোচ্চ স্কোর ১২৭*। স্ট্রাইক রেট ৬০.৭৯। ১টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৪টি হাফসেঞ্চুরি। যার মধ্যে কমপক্ষে ১টি সেঞ্চুরি হতে পারত। টি-টোয়েন্টিতেও ২০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৪.৯৫ গড়ে তার রান এখানে ২৯৯। সর্বোচ্চ স্কোর ৪৮।
বলা হয়ে থাকে ওয়ানডে হল সৌম্য সরকারের প্রিয় ফরম্যাট। পরিসংখ্যানও তার প্রমান দেয়। যখন থেকে তিনি টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত হতে শুরু করেন তখন তার ফর্ম পড়তির দিকে। সেই হারানো ফর্ম আর খুঁজে পাচ্ছেন না ম্যাচ উইনারের দক্ষতাসম্পন্ন এই তরুণ। কিউইদের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতে বাদ পড়ার পর আবারও সুযোগ পান টি-টোয়েন্টি একাদশে। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম ম্যাচটি যেন তার দুঃস্বপ্নের মত কাটল।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই আউট। বোলিং করতে নেমে এক ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেট শুন্য। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সীমানার ওপর থেকে মিস করলেন গতকালের ম্যাচ উইনার কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচ। এই সৌম্যই না পাখির মত উড়াল দিয়ে ক্যাচ ধরতেন! এই সৌম্যই না কলকাতার ইডেন গার্ডেনে পাকিস্তনের বিপক্ষে বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে সেই অসাধারণ ক্যাচ নিয়েছিলেন! যেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি হিসেবে বেছে নিয়েছিল আইসিসি। সেই সৌম্য যখন গতকাল এমন একটা ক্যাচ ছাড়লেন তখন বোঝাই যায় সমস্যাটা তার টেকনিকে নয়; সমস্যাটা মানসিক। হয়তো প্রথমবারের মত ফর্ম হারানোর ধকল নিতে পারছেন না এই তরুণ।
আগামী দুই টি-টোয়েন্টিতে একাদশে স্থান পাবেন কিনা নিশ্চিত নয়। আড্ডার মাঝেও অনেকটাই নিস্তরঙ্গ লাগে তাকে। ফেসবুকে আনাগোনাও কমে গেছে। কিন্তু নিজের এই কঠিন দুঃসময়ে এখনও পর্যন্ত সৌম্য পাশে পাচ্ছেন দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মানুষটিকে। তিনি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর সাংবাদিকরা যখন একাদশে সৌম্যকে রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে অধিনায়কের দিকে প্রশ্নবান ছুঁড়লেন, তখন ঠিক যেন সৌম্যর কাঁধে হাত রেখে তাকে নির্ভরতা দিলেন অধিনায়ক।
বললেন, “আপনি যদি পরিসংখ্যান দেখেন, সবাই বিশ্বাস করে সৌম্য বাংলাদেশ দলের ম্যাচ উইনার। সে ম্যাচ জিতিয়ছেও। আমরা অনেকে এখনও ওর মতো ম্যাচ জেতাতে পারিনি। ওর ইতিহাস যদি দেখেন, এখনও ও এত এক্সপেনসিভ না। ”
অর্থাৎ এখনই সৌম্যকে ছুঁড়ে ফেলার কিছু দেখছেন না অধিনায়ক। এর আগে একই কথা বলেছিলেন কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। বলেছিলেন, “এই ছেলেটা খেলতে জানে। ওর মত গড় আর স্ট্রাইক রেট বাংলাদেশে কয়জনের আছে? সে অবশ্যই ফর্মে ফিরে আসবে। ” কোচের এই কথা আর গতকালের মাশরাফির কথার সারমর্ম একই। দুজনেই বলছেন আরও কিছু সময় লাগবে তার ফর্মে ফিরতে। কিন্তু এতকিছুর পরও সৌম্য কী ভাবছেন? তার ওপর এত আস্থার প্রতিদান নিশ্চয়ই দেওয়া উচিৎ তার।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন