তসলিমা নাসরিন নায়করাজকে নিয়ে যা লিখলেন
তসলিমা নাসরিন : ফেসবুকে দেখছি বাংলাদেশের বাঙালিরা কান্নাকাটি করছে, কী, ষাট সত্তর দশকের সিনেমার হিরো রাজ্জাক মারা গেছেন। মারা গেছেন ৭৬ বছর বয়সে। মোটামুটি দীর্ঘদিন বেঁচেছেন।। স্ত্রী পুত্র কন্যা নিয়ে সুখে শান্তিতে বেঁচেছেন। জীবনে যশ খ্যাতি সব পেয়েছেন।
হজ্বও করেছেন। ইহকাল পরকাল দু’কালেই তিনি রাজা। তাকে বলা হতো নায়করাজ রাজ্জাক। কিশোরী বয়সে তার প্রচুর ছবি দেখেছি। সেই তখনকার সাদা কালো সিনেমা, সরল সহজ গল্প, তিনি রোমান্টিক নায়ক চরিত্রে অভিনয় করতেন। কলকাতার এক্সেন্টে বাংলা বলতেন। বেশ শোনাতো! আর সেই দোবো নোবোগুলো!
বুড়ো বয়সের রাজ্জাক দেখতে বিচ্ছিরি। যৌবনে তিনি অত্যন্ত রূপবান পুরুষ ছিলেন। আজ যুবক রাজ্জাককে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল, আমার কিশোরী বয়সে যে রাজ্জাককে পর্দায় দেখেছি সেই রাজ্জাককে। ইউটিউবে রাজ্জাক লিখে সার্চ দিলে ভূরি ভূরি আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ আসে।
এই রাজ্জাকের ভিড়ে সেই রাজ্জাককে খুঁজে পাওয়া যায় না। এই রাজ্জাক বিন ইউসুফের ওয়াজ ইউটিউবে উপচে পড়ছে। মোল্লা মৌলবীগুলো অবিজ্ঞান প্রচার করছে বিজ্ঞানের আশ্রয় নিয়ে। একে হঠিয়ে ওকে দেখা হলো। এক ঝাঁক কৈশোর এসে গায়ের ওপর ঝুপঝুপ করে পড়লো।
কত প্রিয় প্রিয় মানুষ মারা যাচ্ছে। ক’দিন আর কাকে মনে রাখি! কাজে অকাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি সবাই। কেউ চাই না জীবন কোথাও স্থবির দাঁড়িয়ে থাকুক। মা মারা গেলো। ভেবেছিলাম সৌধ বানাবো। কোথায়? মাসে দু’মাসে হয়তো হঠাত একবার মনে পড়ে।
আমরা অনেকেই এখন নিজেদের যাওয়ার কথা ভাবি। প্রায় সমবয়সী কাকে যেন বলতে শুনলাম সেদিন, ‘আমি না থাকলে ওকে কে দেখবে’ — এরকম একটি বাক্য। একটু থমকে গিয়ে পরে ভাবলাম, মাঝে মাঝে আমিও কি আজকাল ভাবি না, ‘আমি না থাকলে…’?
একটি মৃত্যুই মৃত্যুকে কাছে নিয়ে আসে। কিছুক্ষণের জন্য অথবা সারাদিনের জন্য।
কাল আবার সকাল হবে। কাল আবার পাখি ডাকবে। কাল আবার জীবন হাতছানি দিয়ে প্রবল ডাকবে। আপাতত দূর হবে মৃত্যু-চিন্তা। -লেখিকার ফেসবুক থেকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন