তামিম-গেইল থাকা অবস্থায় ম্যাচ হেরে গেল চিটাগাং
আফিফ হোসেন। বিপিএলে জীবনের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ঘোর লাগিয়ে দিলেন সবার চোখে।
মাত্র ১৭ বছরের এই অফ স্পিনার ২১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। আর তার বিস্ময়কর পারফরম্যান্সের পর চিটাগং ভাইকিংসকে বেশ সহজেই হারিয়েছে রাজশাহী কিংস। জয়টা ৬ উইকেটের। তাতে চিটাগং, খুলনা টাইটান্স ও রংপুর রাইডার্সের সমান ১২ পয়েন্ট হলো রাজশাহীর। প্লে অফের তিনটি স্থানের জন্য এখন লড়াই চার দলেরই। রংপুর ও খুলনার শেষ ম্যাচ রবিবার। তারপরই নির্ধারিত হবে সব।
শনিবার আফিফের কল্পনাকে হার মানানো অভিষেকের ম্যাচে রাজশাহী বিপক্ষে ৯ উইকেটে মাত্র ১১১ রান তুলতে পারে চিটাগং। সেটিও সম্ভব হয়েছে বিরুদ্ধ স্রোতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের শোয়েব মালিক ৫৪ বলে ৬৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলায়। এরপর জেমস ফ্রাঙ্কলিন খেললেন ২৭ বলে হার না মানা ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তাতে ১৩.৫ ওভারেই ৪ উইকেটে ১১২ রান রাজশাহীর।
ম্যাচের ফল যাই হোক। ম্যান অব দ্য ম্যাচ আগেই আফিফ! বিপিএল যে কোনো অভিষিক্তর কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স আগে দেখেনি। ৪-১-২১-৫। আফিফের বোলিং বিপিএলের ইতিহাসের তৃতীয় সেরা। কোনো বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএলে এটাই সেরা ফিগার। সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে সব রেকর্ডই আফিফের।
বিকেএসপির এই টিনএজারকে ড্যারেন স্যামিরা নিয়েছিলেন তাদের অস্তিত্ব রক্ষার ম্যাচে। চিটাগংয়ের কাছে হারলেই রাজশাহীর বিদায় আসর থেকে। আফিফের পারফরম্যান্সের পরও রাজশাহী হারলে তা হব দূর্ভাগ্যজনক।
প্রথম উইকেটটি জহুরুল ইসলামের। দ্বিতীয় উইকেটটি টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলের! ভাবা যায়! ৫ উইকেট পূরণ করা শেষ ওভারটি ডাবল উইকেট মেডেন! মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রূপকথার গল্পই তার অফ স্পিনে লিখেছেন আফিফ।
বিকেএসপির শিক্ষার্থী ও আসন্ন এশিয়া কাপে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ অধিনায়ক আফিফ বল পেলেন পঞ্চম ওভারে। ততক্ষণে তামিম ইকবাল (০) ও এনামুল হককে (৮) হারিয়েছে চিটাগং। আফিফ তার তৃতীয় বলেই জহুরুল ইসলামকে (১৩) তুলে নেন। চমকের পর চমক লাগিয়ে টানা ৩ ওভারে ৩ উইকেট তার।
দ্বিতীয় ওভারে গেইল (৫) আফিফের বলের লাইন ধরতে না পেরে বোল্ড। পরের ওভারে জাকির হাসান (৩) এলবিডাব্লিউর শিকার। ৩৭ রানে ৫ উইকেট নেই চিটাগংয়ের।
শোয়েব মালিক একপ্রান্ত ধরেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে বিপদ। ১২তম ওভারে নাজমুল ইসলাম তুলে নেন মোহাম্মদ নবিকে (১২)। পরের ওভারটি কোটার শেষ আফিফের। আসলেন। প্রথম বলেই এলবিডাব্লিউর শিকার সাকলাইন সজীব (১)। ৩ বল পর ইমরান খান (০) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৫ উইকেট শিকারের উল্লাস আফিফের। উৎসব রাজশাহীর। ৭০ রানে ৮ উইকেট নেই চিটাগংয়ের।
তবু যে রানটা ১০০ পেরুলো তার সব কৃতিত্বই শোয়েবের। দারুণ বিপদে নবম উইকেটে তাসকিন আহমেদকে (২) নিয়ে গড়লেন ৩০ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত শোয়েব অপরাজিত ৫৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় গড়া ৬৭ রানের ইনিংসে।
কিন্তু ওই সংগ্রটা চিটাগংয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাদের তো আর আফিফ নেই! ৩৭ রানের মধ্যে নুরুল হাসান (১২) ও মুমিনুল হককে (২১) হারায় রাজশাহী। ফ্রাঙ্কলিন আর সাব্বির ২৩ বলে ৪০ রানের জুটি গড়লেন। সাব্বির ৮ রানে বিদায় নিলেন। স্যামিও (৩) ফিরলেন। কিন্তু ফ্রাঙ্কলিন ২৩ বলে ফিফটি করেছেন। জয় নিয়ে ফিরেছেন। অস্তিত্বের লড়াই হয়ে যাওয়া ম্যাচে আফিফ বিস্ময়ের পর ফ্রাঙ্কলিন ঝড়ে রান রেট বাড়িয়ে রেখে বিপিএলে টিকে থাকল রাজশাহী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন