‘তারাই এক সময় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে বাধা দিয়েছেন’
‘যারা এখন মানবতার ধোঁয়া ভালো মানুষ সাজার চেষ্টা করছেন তারাই এক সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন’- মন্তব্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের। তবে এই ব্যক্তি কারা সেটা স্পষ্ট করে বলেননি তিনি।
সকালে রাজারবাগে পুলিশ সদরদপ্তরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আইন করে এর বিচার বন্ধ করার উদ্যোগ নেয় পরের মোশতাক সরকার। ওই সরকারের আনা ইনডেমনিটি বিল পরে জিয়াউর রহমানের সরকার সংবিধানের অংশে পরিণত করে। আর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই বিল বাতিল করে।
সরকারের ওই আমলে বিচারিক আদালত এবং হাইকোর্টে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় ঘোষণা হয়। এরপর বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আপিল বিভাগে পাঁচ বছরেও শুনানি হয়নি। অভিযোগ আছে, এই শুনানি যেন না হতে পারে সে জন্য আপিল বিভাগে সে সময় বিচারপতি নিয়োগ বন্ধ রেখেছিল সরকার।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসার পর আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ হয় এবং শুনানি শেষে ১২ জনের মৃত্যুদ- বহাল রাখা হয়। দীর্ঘ পরিক্রমা শেষে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হয়ে গেলে ২৮ জানুয়ারি পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরোধীরা এখনও চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘চীনের জাতীয় নেতা মাও সেতুংয়ের শাসন নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে কিন্তু তাকে সবাই শ্রদ্ধা করে, ভারতেও মহাত্মা গান্ধিকে সবাই শ্রদ্ধা করে। ইন্দোনেশিয়ায় সুকর্নকেও সবাই মানে। কিন্তু বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে অশ্রদ্ধা করেতে চায় কিছু মানুষ।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হলেও এর পেছনে ষড়যন্ত্রের বিচার না হওয়ায় আক্ষেপের কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, খুনিরা কেবল জাতির জনককে হত্যা করেনি। জাতীয় চার নেতাকেও হত্যা করেছে।
নাসিম বলেন, ‘কয়েকজন বিশ^াসঘাতক এসব হত্যায় জড়িত ছিল। এই খুনিদের বিচার হবে ভাবিনি। ভাবিনি ৭১ সালের হত্যাকারীদের বিচার হবে।’
জঙ্গি তৎপরতায় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জড়িত মন্তব্য করে তাদেরকে প্রতিরোধে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘গুলশানে (১ জানুয়ারি হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা) অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমি আপনাদের শ্রদ্ধা জানাই। আপনারা সেদিন ঘটনাস্থলে পাঁচ মিনিটেই পৌঁছে গেছেন। রবিউল করিম ও সালাহউদ্দিন আহমেদ শহীদ হয়েছেন। শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতেও জীবন দিয়ে মুসল্লিদের রক্ষা করেছে পুলিশ।’
রাজারবাগে পুলিশ হাসপাতালের জন্য দুইটি অ্যাম্বুলেন্স ও আইসিইউ স্থাপনের প্রতিশ্রুতিও দেন স্বস্থ্যমন্ত্রী। দায়িত্ব পালন করাকালে পুলিশের কোনো সদস্য আহত হলে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার ঘোষণাও দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘ যদি কেউ টাকা নেয় তাহলে আমাকে জানাবেন, আমি ব্যবস্থা নেব।’ পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালনকালে আহত হলে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় ৫০ শতাংশ কমানোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দেন মন্ত্রী বলেন, ‘যদি সেই হাসপাতাল ওই ছাড় না দেয় তাহলে ওই সেটা বন্ধ করে দেব।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন