তারেকের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে হাইকোর্ট
অবৈধভাবে অর্থপাচার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আদালতের আদেশ অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করেন কিনা তা আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেখবে হাইকোর্ট। ঐদিন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
এদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন ‘তারেক রহমানের লন্ডনের বাসার ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে কিনা এমন বিষয়ে আজ আদালত একটি প্রতিবদেন দাখিল করেন সিএমএম। এ প্রতিবেদনে আদালত সন্তুষ্ট।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে তারেক রহমানকে এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল এবং এ নোটিশটি পাঠিয়েছিল আদালত কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ নোটিশটি পাঠাতে বলা হয়েছিল। নোটিশটি তারেক রহমানের লন্ডনের বাসার ঠিকানায় সঠিকভাবে এটি পাঠানো হয়েছিলো কিনা সেটি জানতে আজ আদালত দিন নির্ধারণ করেছিলেন।’
আদালতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ বিষয়ে আজ একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনের বলা হয়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তারেক রহমানের লন্ডনের বাসার ঠিকানায় ওই নোটিশটি পাঠান।
অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিল শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হবে আগামী ১৬ মার্চ।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আদালতের এ আদেশের ফলে কবে থেকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শুরু হবে সেটি জানা যাবে আগামী ১৬ মার্চ।
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে তারেক রহমানের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
উল্লেখ্য, অর্থপাচার (মানিলন্ডারিং) মামলায় তার খালাস পাওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলের পর ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি আত্মসমর্পণ করেননি।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এ বিষয়ে ২০ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি দু’টি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন।
এর আগে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।
রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচারকৃত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক।
পরে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের আদেশ দেন বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এরপর গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানায় দুদক। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১২ জানুয়ারি তারেকের বিরুদ্ধে সমনে নোটিশ জারির আদেশ দেন।
তারেকের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য নির্মাণ কন্স্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে ওই টাকা লেনদেন হয়। এর পর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের টি ব্যাংক এনএতে তার একাউন্টে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিনকোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন । পরে ক্যান্টমেন্ট থানায় তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৬ জুলাই মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০১৩ সালে তারেক রহমানকে খালস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের সাজা ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন