তারেকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা, সোমবার বিএনপির বিক্ষোভ
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে সোমবার দেশের সব মহানগর ও জেলায় বিক্ষোভ ডেকেছে বিএনপি। ঢাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে রবিবার।
শনিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তবে ঢাকা মহানগরে রবিবার এই কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানান মহানগরের আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারি মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের ৬ জানুয়ারি তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তেজগাঁও থানার পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে গত বছরের ৮ জানুয়ারি তারেক রহমান ও আবদুস সালামসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানার এসআই বোরহানউদ্দিন রাষ্ট্রদ্রেহের অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি তারেক রহমান ঢাকা শহরকে অন্য জেলা থেকে এবং ঢাকার এক এলাকাকে অন্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার জন্য তার দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেন, ‘সরকার তারেক রহমানের রাজনৈতিক ইমেজ কালিমালিপ্ত করতে একের পর এক বানোয়াট মামলা দায়ের করে আদালতকে দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার করে পরোয়ানা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি তারেক রহমানের মতো একজন নিরপরাধ এবং জনপ্রিয় রাজনীতিবিদকে এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি না করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি এখন বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয়েছে। বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, অপহরণ এবং উদ্ভট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে নাজেহাল করা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জাতীয় নেতৃবৃন্দকেও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার শাসন কায়েম করে দেশটাকে মগের মুল্লুকে রূপান্তরিত করা হয়েছে।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘পুলিশের হয়রানি এবং বিচার ও প্রশাসনের রোষের শিকার হওয়া যেন বাংলাদেশের মানুষের নসিব হয়ে গেছে। এদেশে অসংখ্য চিহ্নিত হত্যাকারীরা সরকারি দলের লোক হওয়ার কারণে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা লাভ করে, আর বিএনপিসহ বিরোধী দলের লোকেরা গণতন্ত্রের কথা বললে তাদেরকে হাস্যকর ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় জড়িয়ে কারাগারে ঢোকানো হয়।’
দুদু অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রকাশ্যে খুন করার পরও কারাগারে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধায় রাখা হয়। আর শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অপরাধে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। ’
বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে যেকোনো অনুষ্ঠানে গলা ফাটিয়ে বিষোদগার করতে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী নেতারা যেন প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে দাবি করে দুদু বলেন, ‘তৃণমূলকে শক্তিশালী করার কারণে শুরু থেকেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারেক রহমানের প্রতি ইর্ষান্বিত হয়ে বিষোদগার ও মিথ্যাচার করে আসছেন। বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকলেও তাকে নিয়ে নিকৃষ্ট মিথ্যাচার থেমে নেই। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তারেক রহমানকে নিশ্চিহ্ন করতেই ১/১১ এর সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও তারেক রহমানের ওপর বিরামহীনভাবে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তার বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সেটিরই আরও একটি দৃষ্টান্ত।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন