তালিকায় না হওয়ায় চাল পায়নি ১৬ হাজার হতদরিদ্র পরিবার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় হতদরিদ্রদের নামের তালিকা তৈরি না হওয়ায় দশ টাকা কেজি দরের সেপ্টেম্বর মাসের চাল ফেরত গেছে। চাল ফেরত চলে যাওয়ার কারণে উপজেলার ১৫ হাজার ৮৪১টি পরিবার চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নির্দিষ্ট সময়ে উপজেলার ১২টির মধ্যে ইতনা, কোটাকোল ও শালনগর ইউনিয়নের গরীব মানুষদের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। সে কারণে বাকি নয়টি ইউনিয়নের সুবিধাভোগীরাও দশ টাকা কেজি দামের চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এতে প্রায় ৪৭ হাজার ৫২৩ মেট্রিক টন বরাদ্দকৃত ফেরত গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনীত সরকারি প্রতিনিধি ও নাম প্রণয়ন কমিটির সভাপতি এবং ইতনা, কোটাকোল ও শালনগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবদের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে সেপ্টেম্বর মাসের চাল ফেরত গেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের জন্য দশ টাকা কেজি দরের প্রায় ৪৭ হাজার ৫২৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়। এসব চাল সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে বিক্রি করার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্মীপাশা, লোহাগড়া, জয়পুর, নোয়াগ্রাম, নলদী, দিঘলিয়া, মল্লিকপুর, লাহুড়িয়া ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ হতদরিদ্রদের নামের তালিকা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে জমা দেয়।
কিন্তু ইতনা, কোটাকোল ও শালনগর ইউনিয়নের নামের তালিকা জমা হয়নি। এ কারণে সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলায় বরাদ্দ আসা প্রায় ৪৭ হাজার ৫২৩ মেট্রিক টন চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন গরিব মানুষেরা।
ইতনা ইউনিয়নে দরিদ্রদের নামের তালিকা প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার বলেন, তালিকায় আমি সই করেছি। ওই ইউপির সচিব নামের তালিকা দাখিল করতে বিলম্ব করেছে কি না তা আমি জানি না।
ইতনা ইউনিয়নের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান মিলন বলেন, খাদ্য অফিসে নামের তালিকা জমা দেয়া হয়েছে। দেরিতে জমা দিয়েছেন কেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের বন্ধ এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিটিং করার জন্য নামের তালিকা দিতে বিলম্ব হয়েছে।
শালনগর ইউনিয়নের সচিব ও দরিদ্রদের নামের তালিকা প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব মাছুদুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে নামের তালিকা পেতে বিলম্ব হওয়ায় তালিকা তৈরি করতে দেরি হয়েছে।
কোটাকোল ইউনিয়নের সচিব ও নামের তালিকা প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব মুশফিকুর রহমান বলেন, হতদরিদ্রদের নামের তালিকা জমা দেয়ার সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্যার তালিকায় ভিক্ষুকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। এমন নির্দেশনার কারণে সময় মতো নামের তালিকা দিতে পারিনি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মঈন-উল-ইসলাম বলেন, সময়মতো নামের তালিকা তৈরি না হয়ার কারণে গত সেপ্টেম্বর মাসের দশ টাকা দরের চাল দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে আশা করছি পরবর্তী মাসের চাল আমরা সময়মতো দিতে পারব।
হতদরিদ্রদের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের নামের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা আসে এবং নির্দেশনা মোতাবেক নয়টি ইউনিয়ন থেকে নামের তালিকা পাওয়া যায়। তবে তিনটি ইউনিয়নের বিলম্বের কারণে গত সেপ্টেম্বর মাসের দশ টাকা দরের চাল দেয়া সম্ভব হয়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন