বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮ রানে বাংলাদেশ জয় পাওয়ার পরপরই আরাফাত সানি ও তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেন মাঠের দায়িত্ব পালন করা দুই আম্পায়ার। ধর্মশালার ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদের কাছে তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে নিজেদের সন্দেহের কথা জানান আম্পায়াররা।

এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে দলের কোচ হাথুরুসিংহে ধর্মশালায় এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে তাসকিন এবং সানি এই অ্যাকশানেই বল করে আসছে। এর আগে তো এদের বোলিং অ্যাকশান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়নি। তবে এখন কেন আইসিসির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে?’

তিনি বলেন, ‘আইসিসির ম্যাচ রেফারি হয়তো নতুন কিছু দেখেছেন, এর চেয়ে বেশি আর কী বলতে পারি আমি? তবে আমি বিস্মিত।’

আরাফাত সানি ও তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আইসিসির প্রশ্ন তোলার পর-পরই বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত হতে থাকে অনলাইন অঙ্গন। বাংলাদদেশী ক্রিকেট প্রেমীরা তাসকিন-সানির ইস্যুটি ‘ভারতের ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করে আসছে। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকসহ অনলাইনে চলছে ভারতের তুমুল সমালোচনা। ঠিক এমন সময়েই ভারতের কিছু ওয়েব সাইট হ্যাক করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় হ্যাকার গ্রুপ ‘সাইবার ৭১।’

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে http://www.confeye.in, http://socialresearchfoundation.com,
http://ctf.org.in, http://www.hindustandirectory.com ভারতের এ ৪টি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে তারা। একই সাথে আইসিসিকে ভারতীয় চিটিং কাউন্সিল বলেও অভিযোগ করে তারা।।

এ বিষয়ে হ্যাকার গ্রুপটি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক ফ্যানপেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে বলেছে, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদে সাইবার৭১ সবসময়ই সোচ্চার ভুমিকা পালন করে এসেছে। অন্যায়কে কখনই প্রশ্রয় দেয় নাই। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ICC-Indian Cheating Council এর বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়ার ‘তাসকিন আহমেদে’ বিরুদ্ধে হাস্যকর, ফালতু অভিযোগ এনে তাকে ক্রিকেট থেকে দূরে রাখার এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে ষড়যন্ত্র করার প্রতিবাদস্বরুপ ইন্ডিয়ান সাইবার স্পেসে হামলা চালিয়ে তার প্রতিবাদ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, নিয়মানুযায়ী আগামী সাতদিনের মধ্যে আইসিসি অনুমোদিত কোনো পরীক্ষাগারে তাসকিন ও আরাফাত সানিকে বোলিং অ্যাকশানের পরীক্ষা দিতে হবে। তবে এ সময়ে নির্ধারিত ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন তারা।