তিন বছরেও যে কাজটি পারলেন না শেখ হাসিনা
দায়িত্ব নিয়ে তিন বছরেও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি দিতে পারলেন না খোদ দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে কমিটিহীন নগর আওয়ামী লীগ এখন চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
যদিও দলীয় কর্মীরা এজন্য শেখ হাসিনার উপর দোষ চাপাতে নারাজ, কারণ- প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় নেত্রী হিসেবে তাকে প্রচুর কাজ সামলাতে হয়। তা ছাড়া, সরকার বিরোধী শক্তির দেশব্যাপী তাণ্ডব, অস্থিরতা তৈরি, টানা ব্যস্ততা ও চাপের কারণে তিনি এখনো কমিটি দিয়ে উঠতে পারেননি বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু এতেই কি রাজনীতির চিড়ে ভিজে?
কর্মীদের মধ্যে হতাশা, নেতৃত্ব ও গণতন্ত্রের বিকাশ রুদ্ধ হওয়া এবং চেইন অব কমান্ড ভেঙে যাওয়ার কারণে সংগঠনের যে লেজেগোবরে অবস্থা হয় তার দায় নেবে কে? এমনই প্রশ্ন দলের সমর্থক শুভার্থীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১২ সালে ঢাকা মহাগর সম্মেলনের কাউন্সিলররা এক বাক্যে হাত তুলে তাদের সমস্ত ভোটাধিকার তুলে দেন দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার হাতে। তারা শেখ হাসিনা যে কমিটি দেবেন সে কমিটি মেনে নেবেন বলে ঘোষণা দেন। এরপর কেটে গেছে টানা তিন বছর। এখনো দেয়া হয়নি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১৮ জুন সম্মেলনে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফকে সভাপতি এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন কারা হয়েছিল। সেটিই ঢাকা নগরীরর শেষ কমিটি। যদিও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর নতুন কমিটি গঠন করার কথা রয়েছে। তারপরও এক যুগেও ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিটের নেতৃত্বের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলায় আহত হানিফ ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর মারা যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর আলী। দলীয় নেতাকর্মীদের বিরোধের মুখে কেন্দ্র থেকে ওমর আলীকে অব্যাহতি দিয়ে পাঁচ নাম্বার সহ-সভাপতি এমএ আজিজকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। ওয়ান-ইলেভেনের প্রেক্ষাপটে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার দেশত্যাগে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর দল ক্ষমতায় এলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আবার সাধারণ সম্পাদকদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এরপর ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কাউন্সিলরা সর্বসম্মতিক্রমে তাদের ভোটের অধিকার দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে অর্পন করে নগর কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। দীর্ঘ বিরতিতে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের পর আরো প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন কমিটি গঠনের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এছাড়া ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী ছাড়া বাকি থানা ও ওয়ার্ডে সম্মেলন হলেও নতুন কমিটি গঠনের কোনো উদ্যোগ নেই। এতে নবীন নেতৃত্বের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নিয়মিত কমিটি না দেয়ায় ঝিমিয়ে পড়েছে মহানগর আওয়ামীলীগের সব কার্যক্রম। বর্তমান কমিটির বেশিরভাগ নেতা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। এছাড়া সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরাও বড় কোনো দলীয় কর্মসূচি ছাড়া নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আসেন না বললেই চলে।
নগর কমিটি গঠনের দীর্ঘসূত্রিতার কারণ জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ বলেন, কমিটি গঠনের ভোটের মালিকরা (কাউন্সিলররা) সম্মেলনে সর্বসিদ্ধান্তক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মহানগর কমিটি গঠনের দায়িত্ব দিয়েছে। কমিটি গঠনের সকল প্রক্রিয়াই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। যে কোনো সময় শেখ হাসিনা কমিটি ঘোষণা করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কমিটি আরও আগেই ঘোষণা করা হতো। কিন্তু দেশে বিরোধী শক্তির অব্যাহত তাণ্ডবের কারণে তা সম্ভব হয় নি।’ বাংলামেইল
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন