তিন মাস সময় চেয়ে দুদকে প্রিন্স মুসার আবেদন

অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিন মাস সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছেন আলোচিত ব্যবসায়ী ও ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মুসা বিন শমসের(প্রিন্স মুসা)।
সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচার করেছেন এমন অভিযোগ অনুসন্ধানে তাকে বুধবার(১৩ জানুয়ারি) জিজ্ঞাসাবাদ করতে তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুপরে দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর এক লিখিত আবেদনপত্র দুদকে পাঠানো হয়। যেখানে দুদকের হাজির হওয়ার জন্য সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছেন মুসা বিন শমসের। দুদকের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সুইস ব্যাংকে অর্থ আছে কি না তা যাচাই করতে চলতি মাসের ৪ জানুয়ারি ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরকে পুনরায় তলব করে দুদক। দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে তাকে ১৩ জানুয়ারি সকাল ১১টায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। ওই নোটিশের প্রেক্ষিতে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি সময়ের আবেদন করেন।
দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে যে ১২বিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯৪ হাজার কোটি টাকা হিসাব দিয়েছেন সে বিষয়ে প্রকৃত তথ্য উদঘাটনেই দ্বিতীয় বারের মতো তলব করা হয়েছিল।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর মুসাকে প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এর আগে ২০১৫ সালের ৭ জুন সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। ওই বছরের ১৯ মে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায় দুদক। সম্পদ বিবরণীতে প্রিন্স মুসার মোট ১২বিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংকে আটক রয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে)। যা নিয়ে মুসা আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দুদককে জানিয়েছেন। তবে আইনগত বাধা-নিষেধের অজুহাতে ওই যৌথ অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য দুদককে দেয়নি মুসা।
ওই তথ্যের সূত্র ধরে গেল বছরের শেষ দিকে মুসার ওই সম্পদের অনুসন্ধান করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে চিঠি দেয়। শুধু মুসা বিন শমসেরের নামে দেওয়া চিঠির উত্তরে সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, তাদের কোনো ব্যাংকে ওই নামে কোনো হিসাব নেই। ফলে ওই ব্যক্তির নামে কোনো সম্পদও নেই। ওই জবাবের প্রেক্ষিতে মুসার স্ত্রী, সন্তানদের নামে কোনো হিসাব আছে কিনা তা জানতে আবারো চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে ২০১১ সালে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তিন বছর পর ২০১৪ সালের শেষের দিকে ‘বিজনেস এশিয়া’ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে আবারও নতুন করে মুসার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক।
এরপর ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর দুদকের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক (বর্তমানে পরিচালক) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
২০১১ সালের ২৪ জুন মুসার যাবতীয় ব্যাংক হিসাব তলব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদকের চাহিদার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুসার ব্যাংক হিসাব তলব করলেও রহস্যজনক কারণে এর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
২০১৪ সালে ‘বিজনেস এশিয়া’ ম্যাগাজিন মুসা বিন শমসেরকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে মুসা বিন শমসেরের ৭ বিলিয়ন ডলার আটকে থাকার কথা বলা হয়েছিল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা
দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিবিস্তারিত পড়ুন

শিবির সভাপতি: অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থবিস্তারিত পড়ুন

মহাকাশে কতগুলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, শীর্ষে কোন দেশ?
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে মোট ৩০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণবিস্তারিত পড়ুন