তিন ‘ম’-র অটোগ্রাফ প্রত্যাশী ধর্মশালার কিশোর-কিশোরীরা
মাশরাফি বিন মর্তুজা-মাহমুদল্লাহ রিয়াদ-মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই তিন বড় তারকার অটোগ্রাফ প্রত্যাশি ধর্মশালার কাংগ্রা জেলার টোটা রানি গ্রামের ক্ষুদে কিশোর কিশোরী হৃতিক-অংশু-অনন্যা-অরন্যরা। চলমান টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের খেলা খেলতে এখন ধর্মশালায় রয়েছে বাংলাদেশ দল। সামনা-সামনি না দেখতে পারলেও টিভিতে বাংলাদেশ দলের খেলা দেখেই মাশরাফি-মাহমুদুল্লাহ-মুস্তাফিজদের চিনেছেন হৃতিক-অংশু-অনন্যা-অরন্যরা। তাই বাংলাদেশের এই তিন বড় তারকার অটোগ্রাফ প্রত্যাশি ১২-১৪ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরিরা।
টোটা রানি গ্রামের পাশেই ডাল লেক। দেখতে আহামরি কিছু না হলেও, স্মৃতির পাতায় রেখে দেবার মত দৃশ্য এখানে আছে। তাই তো দর্শনাথীদের ভিড় থাকেই। তারপরও চুপচাপ-নিরিবিলি ডাল লেকের জায়গা পরিবেশের কারনে চোখ জুড়ানোর মতই। তবে এই ডাল লেক থেকে অবিস্মরনীয় কিছু পাওয়া গেল। অন্তত বাংলাদেশের জন্য।
ডাল লেকের জলাশয় থেকে সামন্য দূরে ১৪ জনের কিশোর-কিশোরি ক্রিকেট খেলায় মগ্ন। স্কুল শেষ করেই মাঠে ঘাম ঝড়াতে ব্যস্ত তারা। কারন টি-২০র ক্রিকেট জ্বরে যে কাপছে বিশ্ব। সেখানে নিজেদেরকে কিভাবে আটকে রাখে অংশু-অনন্যা-অরন্য-হৃতিকরা।
তাদের খেলার মাঝেই ঐ ক্ষুদে কিশোর-কিশোরিদের জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে চিনো?’ হৃতিক নামে একজন চিৎকার করে উত্তর দিলো (হিন্দিতে), ‘অবশ্যই। মাহমুদুল্লাহ’কে চিনি। ওর খেলা আমার ভালো লাগে। এশিয়া কাপে অনেক জোড়ে (দ্রুত রান) বল মেরেছিলো।’
হৃতিকের কথা শেষ হবার আগেই তার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে কিশোরি অনন্যা বলে বসেন, ‘আমি মর্তুজাকে চিনি। ও বাংলাদেশের নেতা। মর্তুজা ভালোভাবে বল করতে পারে।’
এরপর আরও জোড়ে চিৎকারে দিয়ে মুস্তাফিজের নাম উচ্চারন করেন অংশু। কোমলমতি চেহারায় মিষ্টি হাসি দিয়ে অংশু বলে, ‘ভারতের সাথে অনেকগুলো উইকেট নিয়েছিলো মুস্তাফিজ। এখনও কোন ম্যাচ খেলেনি সে (অর্থ্যাৎ চলমান টি-২০তে মুস্তাফিজুরের খেলা দেখেনি)।’
ক্ষুদে কিশোর-কিশোরিদের মধ্যে কয়েকজন যখন তাদের প্রিয় খেলোড়দের কথা বলতে ব্যস্ত, এসময় অরন্য নামে এক ১২ বছর বয়সী কিশোর উল্টো প্রশ্ন করে বসে, ‘তুমি কি বাংলাদেশ দলে খেলো?’ (জিজ্ঞেস করার কারন হলো- সাংবাদিকদের অ্যাক্ররিডিটেশন কার্ডে টি-২০ ক্রিকেট লেখা দেখে)।
অরন্যের প্রশ্নের উত্তর না হবার পর, কালো মেঘে ঢেকে যায় ঐ কিশোরের চেহারা। এরপর তাদের খুশী করতে একসাথে ছবি তোলার অনুরোধে সায় দেয় তারা। এরপর ছবি তোলা হয়। ছবি তোলার সময় ভি-চিহ্ন দেখিয়ে বাংলাদেশ বলে চিৎকারও দেয় তারা।
কিন্তু ছবি তোলা শেষ করে চলে যাওয়ার সময়, দৌড়ে এসে হৃতিক বলে, ‘মাহমুদুল্লাহ যেহেতু আসেনি, তুমি আমাদের অটোগ্রাফ দিয়ে যাও!!! এমন কথায় অবাক হওয়া ছাড়া কিছু করার ছিলো না।
হৃতিকের দেখাদেখি অন্য কিশোর-কিশোরিরাও ছুটে আসে অটোগ্রাফের আবদার করে। এসময় তাদের হাতে মোবাইল, ট্যাব, জামা, ব্যাগ দেখা যায়। এসব নিয়ে আসার কারন হলো- মোবাইল, ট্যাব, জামা, ব্যাগে অটোগ্রাফ টুকে রাখবে।
প্রিয় তারকাকে কাছে না পেলেও, তাদের নামে অটোগ্রাফ আবদার করে বাংলাদেশকে তথা মাশরাফি-মাহমুদুল্লাহ-মুস্তাফিজুরদের অনেকবেশি সম্মানিত করলো ধর্মশালার কাংগ্রা জেলার টোটা রানি গ্রামের ক্ষুদে কিশোর কিশোরি হৃতিক-অংশু-অনন্যা ও অরন্যরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন