তিন শিশুর হাতে হাতকড়া! কিন্তু কেন??
তিন শিশুকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। পাশাপাশি তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ বুধবার এই রিমান্ড আবেদন নাকচ করে শিশুদের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার উপপরিদর্শক বলেন, ‘এই তিন শিশুসহ চার আসামির কাছ থেকে ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছি। শিশুরা যাতে পালিয়ে না যেতে পারে, সে জন্য তাদের হাতকড়া পরানো হয়েছে।’ ভবিষ্যতে শিশুদের হাতকড়া পরাবেন না বলে জানান তিনি। মামলার নথিপত্রে দেখা যায়, শিশু তিনটির বয়স দেখানো হয়েছে ১৪ ও ১৫ বছর।
শিশুসহ চারজনকে মিরপুরের পীরেরবাগের নিউ মডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে নির্মাণাধীন একটি ভবনের নিচতলা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে মিরপুর থানার পুলিশ। এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মারুফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন।
তবে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী সালমা আলী বলেন, শিশু আইন অনুযায়ী, শিশুকে হাতকড়া পরানো বেআইনি। শিশুকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনও করতে পারবে না পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই চিহ্নিত করা দরকার।
শিশু আইনের ৪৪ ধারায় বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পর কোনো শিশুকে হাতকড়া বা কোমরে দড়ি লাগানো যাবে না। আর আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে সব ব্যক্তি শিশু হিসেবে গণ্য হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ মিরপুর থানায় করা এ মামলায় তিন শিশুসহ চারজনকে হাতকড়া পরিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম লুৎফর রহমান শিশিরের আদালতে হাজির করা হয়। এই তিন শিশুকে হাতকড়া পরিয়ে আসামির কাঠগড়ায় রাখা হয়। রিমান্ড শুনানির সময়ও হাতকড়া পরানো ছিল।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আলতাফ হোসেন বলেন, এই তিন শিশুকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে আদালত আদেশে বলেছেন, শিশু হওয়ায় তাদের রিমান্ড আবেদন নাকচ করা হলো।
২০১৩ সালের শিশু আইন অনুযায়ী, শিশুদের বিচারের একমাত্র এখতিয়ার শিশু আদালতের। ঢাকার ১ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতকে শিশু আদালত ঘোষণা করা হয়েছে। শিশু আইন অনুযায়ী, কোনোভাবেই শিশুকে দাগি অপরাধীর সঙ্গে একসঙ্গে বিচারকাজ পরিচালনা করা যাবে না।
হাতকড়া নিয়ে পুলিশ প্রবিধানের ৩৩০ ধারায় বলা হয়েছে, ‘গ্রেপ্তারকৃত বন্দী এবং বিচারাধীন বন্দীকে তাহাদের পলায়ন বন্ধ করিবার জন্য যাহা প্রয়োজন, তাহার চাইতে বেশি কড়াকড়ি করা উচিত নহে। হাতকড়া বা দড়ির ব্যবহার প্রায় ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ও অমর্যাদাকর। বয়স বা দুর্বলতার কারণে যাহাদের নিরাপত্তা রক্ষা করা সহজ ও নিরাপদ, তাহাদের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করা উচিত হইবে না।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন