তোপের মুখে সংসদে ক্ষমা চাইলেন তথ্যমন্ত্রী
টিআর-কাবিখা নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে ক্ষমা চেয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় পয়েন্ট অব অর্ডারের শুরুতেই আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী তার নিজ এলাকায় কি কি কাজ করেছেন আগে তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
এসময় সংসদে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ’র বক্তব্যের পর পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ।
প্রথমে এমপিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে ক্ষমা না চাওয়ায় এমপিরা হৈ চৈ শুরু করেন। বিশেষ করে জাতীয় পার্টির আবু হোসেন বাবলা স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দুঃখ প্রকাশ করলে হবে না, তথ্যমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, নইলে আমরা শান্ত হব না।
এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপিদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে কথা বলেছেন, মন্ত্রী তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এরপর আপনারা আর কী ব্যাখা দাবি করেন?
এরপর তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে আমার বরাত দিয়ে যে বক্তব্য এসেছে, সেজন্য আমি ক্ষমা চাইছি, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে রাজধানীতে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো এমপি, আমি জানি টিআর কীভাবে চুরি হয়। সরকার ৩০০টন দেয়, এর মধ্যে এমপি সাহেব আগে দেড়শ টন চুরি করে নেয়। তারপর অন্যরা ভাগ করে। সব এমপি করে না। তবে এমপিরা করেন।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সরকারি দলের সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার এক প্রশ্নের জবাবে সংসদকে জানান, নিবন্ধনের জন্য ১০৫টি অনলাইন টিভি চ্যানেল, ১৮টি অনলাইন রেডিও, এবং ১ হাজার ৭১৭টি অনলাইন পত্রিকা তথ্য অধিদপ্তরে আবেদন জমা দিয়েছে।
জাতীয় পার্টির সদস্য মো. নুরুল ইসলাম ওমরের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সাংবাদিক ও গণমাধ্যমবান্ধব সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণে ‘৮ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ-২০১৩’ ঘোষণা করেছে এবং ঘোষিত মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পত্রিকার বিজ্ঞাপন হার দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, সাংবাদিকদের বৃহত্তর কল্যাণের বিষয়টিকে আইনি কাঠামোয় আনয়নের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৪’ এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বিধিমালা-২০১৬’ প্রণয়ন করেছে। এমনকি বর্তমান সরকার ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে’ সিডমানি হিসেবে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য আলী আজমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, হংকংভিত্তিক এশিয়া সেট-৭ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বের ৪৯টি দেশে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থেবিস্তারিত পড়ুন
বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা নির্ধারণবিস্তারিত পড়ুন
কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেবিস্তারিত পড়ুন