তোষামোদে ব্যস্ত ইসি, কর্মকর্তাদের মুখে রা নেই
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচনেও মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিজে থেকেই এ বিধান রাখার উদ্যোগ নিয়েছিল স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। তবে এ ঘোষণার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় বইছে। বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, এভাবে স্থানীয় নির্বাচনের লেবেল প্লেইং ফিল্ড থাকবে না, ভারসাম্য নষ্ট হবে।
অবশ্য নির্বাচন কমিশন যেচে এ সুযোগ করে দিতে চাইলেও চাইছে না সরকার। এজন্য ইসির পাঠানো বিধিমালায় ভেটিং (অনাপত্তি) না দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। আর এ বিষয়ে এখন মুখ খুলছেন না কমিশনের কোনো কর্মকর্তা।
গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন আচরণবিধিতে মন্ত্রী-এমপিসহ সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের নির্বাচনী এলাকায় সরকারি সুবিধা ছাড়া সফর ও প্রচারণার সুযোগ রেখে করা প্রস্তাবটি ভেটিং এর জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় এ সংশোধন প্রক্রিয়ায় ভেটিং না দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে সে বিধিমালার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত হলেই তা ইসিতে পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভেটিং সম্পন্ন হবে বলে আশা করি।’
নির্বাচনের কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারকে খুশি করতেই সুবিধাভোগীদের সুবিধা দিতে চেয়েছে ইসি। তবে মন্ত্রণালয় বিদ্যমান স্থানীয় সরকারের অন্য আইনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এ সুবিধা দিতে চাইছে না। তাছাড়া সরকার বিধিতে এ ধরনের সুযোগ রেখে বাড়তি সমালোচনার সম্মুখীনও হতে চাচ্ছে না সরকার।
স্থানীয় নির্বাচনে সরকারি সুবিধাভোগীদের প্রচারে যেতে সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব নিয়ে পত্র-পত্রেকায় লেখালেখি হলে সাবেক কমিশনারসহ সর্বমহলে কঠোর সমালোচনার মুখে পরে ইসি। অনেকে মনে করছেন, সরকারকে খুশি করতেই এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির যুগ্ম সচিব মো. শাহজাহান বলেন, ‘কোনোভাবেই সরকারি সুবিধাভোগীদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া উচিৎ নয়। ইসির প্রস্তাবে আইনমন্ত্রণালয় আপত্তি জানালে বিধিতে পরিবর্তন আনতে পারে।’
এদিকে বুধবার পৌর নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বসেছিলেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ ও জাবেদ আলী।
ইসি সূত্রে জানা যায়, পৌর নির্বাচনের আচরণবিধির সংশোধনী নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সবার জন্য সমান সুযোগ রাখতে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণায় অংশ নেয়ার সুযোগ না দেয়ার বিধান রেখে এমন খসড়া তৈরি করে রেখেছিল ইসি। পরবর্তী একজন নির্বাচন কমিশনারের ‘সুবিধা ছেড়ে’ সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন এমন ব্যক্তব্যের পরে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য সুযোগ রেখে এ প্রস্তাবই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণায় সুযোগ রাখার বিষয়ে একজন নির্বাচন কমিশনার ‘কমিশনের বেখেয়ালে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণার সুযোগের বিষয়টি রাখা হয়েছে‘ বলে মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গে মন্ত্রণালয় অনাপত্তি না দিলে পরে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আসার সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইসি সূত্রে জানা যায়, বিধিমালা জারি হলে ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা নিয়ে কমিশন বৈঠকে বসবে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা কমিশনের। সে হিসাবে ডিসেম্বরের শেষভাগে নির্বাচন করবে ইসি। বাংলামেইল
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন