দম্পতিদের যত ‘ফলহীন’ ঝগড়া-বিবাদের কথা
দম্পতিদের মধ্যে নানা বিষয়ে বিতর্ক হয়ে থাকে। কিছু বিষয়ে গঠনমূলক তর্ক চলে। আবার কিছু বিষয়ে হয়ে থাকে ধ্বংসাত্মক বিতর্ক। এ ছাড়া আরেক ধরনের বচসা চলে যার কোনো ফলাফলই থাকে।। একে অনুৎপাদনশীল তর্ক বলে গণ্য করেন বিশেষজ্ঞরা।
দাম্পত্য জীবনে বিশেষ করে স্পর্শকাতর যুগলরা এ ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এতে প্রত্যেকে কিংবা যেকোনো একজন অপরের কথায় দারুণভাবে আহত হয়ে থাকেন। এখানে দেখুন এ ধরনের বিতর্কের কিছু নমুন।
১. পেঁচিয়ে ফেলা : এ ঘটনা ঘটে যখন যেকোনো একজন বৈধভাবেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তখন তার বক্তব্যে বিয়েটা দারুণ যন্ত্রণাদায়ক ঘটনায় পরিণত হয়। তার বিক্ষুব্ধ মন থেকে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটে। অভিজ্ঞজনরা এমন বিতর্ককে ‘মৃত্যুর বাঁক’ বলে অভিহিত করেন। এ সময় যেকোনো একজন অপরের মাধ্যমে দারুণ অপমানিত বোধ করেন এবং নিজেকে পরাজিত বলে ধরে নেন।
২. অগুরুত্বপূর্ণ ভুল ধরা : ‘দ্য মিস্ট্রি অব ম্যারিজ’-এ মাইক মেসন তুলে ধরেছেন, দাম্পত্য জীবনে কিভাবে একে অপরের নজরদারিতে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে যা লুকিয়ে রেখেছেন তা আলোর মধ্যে বেরিয়ে আসে। তা ছাড়া একে অপরকে এমনি আলোয় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যান। যেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু লুকিয়ে রেখেছে এমন বিষয় বের করে আনতে চান তারা। এ খুবই বেদনাদায়ক বিষয়। অযথা সন্দেহ দানা বাঁধে এবং অশান্তি ছেয়ে যায়।
৩. প্রতিযোগী মনে করা : স্টিফেন কভেই-এর বেস্টসেলার ‘দ্য সেভেন হ্যাবিটস অব হাইলি ইফেক্টিভ পিপল’ বইয়ে তিনি তুলে ধরেছেন একের চেয়ে অপরের এগিয়ে থাকার প্রবণতার কথা। এই ধারণা জয়-পরাজয় মনোভাব থেকে আসে। এ ধরনের মানসিকতা যাদের, তাদের উন্নত মানসিকতার অভাবের কথা তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মধ্যে বিশ্বস্ততা উপেক্ষিত থাকে। মধ্যস্থতা গুরুত্ব পায় না। এমন মানসিকতাসম্পন্ন দম্পতিরা একেবার ফালতু বিষয় নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।
৪. দোষারোপ করা : অসংখ্য দম্পতি আছেন যারা একে অপরের ঘাড়ে অযথা দোষ চাপাতে পছন্দ করেন। অপরকে অনুতাপে জড়িয়ে ফেলানোর তাগাদা থাকে মনে। এ ধরনের মানসিকতাকে আবেগগত দিক থেকে অস্বাস্থ্যকর চাপ প্রয়োগ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে যিনি শিকার তিনি সব সময় আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে থাকতে চান।
৫. নীরব চিকিৎসা : ইউএসএ টুডে-তে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, বিবাহিতরা একে অপরের ওপর এক ধরনের নীরব প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। এর বিষাক্ত বাষ্প ছড়িয়ে পড়ে দাম্পত্য জীবনে। যখন কেউ একজন এ কাজে উৎসাহী হয়ে ওঠেন, তখন অপরজন কোনো আলোচনা এড়িয়ে যেতে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। ওই বিষয় থেকে দূরে থাকতে চান তিনি। এতে করে দুজনের মধ্যে এক ধরনের আগ্রাসী মনোভাব চলে আসে। পারস্পরিক বোঝাপড়া চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যদি দেখেন আপনাদের দাম্পত্য জীবনে এই ৫টি অপ্রয়োজনীয় বিষয় গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করা হয়েছে, তবে এখনি সাবধান হয়ে যান। অযাচিত অশান্তি এড়াতে এগুলোর চর্চা ত্যাগ করতে হবে। নয়তো অকারণে ইতি ঘটবে সম্পর্কের। উৎপাদনশীল নয় এমন দ্বন্দ্বে যা জড়ানোই সর্বোত্তম পন্থা। সূত্র : ফক্স নিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন