দর্শনায় সরকারি ভবন নির্মাণে হরিলুট!
জেলার দর্শনায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে কৃষি অধিদপ্তরের নতুন ভবন। নবনির্মিত ভবনে শো পিলার ঢালাইয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে রডের সাথে বাঁশের চটা। শুধু তাই নয়, অবাক করার মত ঘটনা ভবনের নির্মাণ কাজ করা হতো রাতের আধারে। আর তাইতো স্থানীয়দের প্রশ্ন দিনের পর দিন এতবড় ভবনে এতবড় অনিয়ম হলেও যাদের দেখার দায়িত্ব ছিলো তারা কি করতো।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ সরকারি ভবন নির্মাণে ঠিকাদারদের এই জঘণ্য কাজ পুকুর চুরি নাকি হরিলুট?
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গত বছরের ১ ডিসেম্বর নতুন এই ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজের উদ্বোধন করেন কৃষি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান। কিন্তু উদ্বোধনের পরই ভবনের নির্মাণ কাজ করা হতো রাতের আধারে। এই নিয়ে স্থানীয়দের কৌতূহলেরও কমতি ছিলো না।
প্রত্যক্ষদর্শী পরান, নাহিদ পারভেজ ও রুবেল জানায়, বুধবার বিকালে আমরা কয়েক বন্ধু ভবনের আশপাশে যেয়ে ভবনের শো পিলার ঢালাইয়ে রডের পরিবর্তে বাঁশের চটা ব্যবহার করা দেখতে পাই। শুরু হয় তুলকালাম। খবর পেয়ে স্থানীয় শত শত মানুষ ভিড় জমায় ওই ভবনের সামনে।
পুকুর চুরি ঢাকতে এলাকাবাসীর সাথে দেনদরবারে ব্যস্ত হয়ে ওঠে ঠিকাদারের প্রতিনিধি দল। কিন্তু সব চেষ্টা বিফলে যায় ঠিকাদারের নিয়োজিত প্রতিনিধি দলের। এক পর্যায়ে ঢালাইকৃত পিলার হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে শুরু করে আর সাথে সাথে বের হতে থাকে ঠিকাদারদের জঘণ্য প্রমাণ। সেখানে দেখা যায় ঢালাইয়ে রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের চটা। জনগণের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ঠিকাদার প্রতিনিধি দলটি সটকে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক রহমত আলীর প্রশ্ন ৫ তলা ফাউন্ডেশনের সরকারি ভবনের পিলারে রডের বদলে বাঁশের চটা দেখে হতবাক আমি। তিনি জানান, সরকারি এই কাজে এতবড় অনিয়ম কিভাবে সম্ভব হয়?
এ ব্যাপারে নির্মিত ভবনের পর্যবেক্ষণে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী শুব্রত ভবন নির্মাণের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সাংবাদিকদের জানান, আমি গত ৩-৪ দিন নির্বাচনী ছুটির জন্য বাইরে ছিলাম আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।
প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম তিনিও একই সুরে সুর মিলিয়ে নিজ দায়িত্ব অবহেলার কথা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাব। যারা এ কাজটি করেছে তারা এটি অনিয়ম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা কামরুন নাহার মিতা জানান, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। বিষয়টি জানার পরে আমি কাজ বন্ধ ও শো পিলারগুলো ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে অবহিত করেছি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য।
এদিকে, বিষয়টি নজরে আসার পর বৃহস্পতিবার পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান, জেলা কৃষি কর্মকর্তা নির্মল কুমার দে ও দামুড়হুদা কৃষি কর্মকর্তা সুফি রফিকুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন