দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে প্রভাবশালীদেরও ছাড় নয়: ওবায়দুল কাদের
জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘কিছু নেতাকর্মীর আচারণে উন্নয়নের পরও জনগণ অসন্তুষ্ট হয়। যা ভোটের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রক্ষার জন্য কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তিকেও ছাড় দেবেন না দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। সিরাজগঞ্জের মেয়রকেও ছাড় দেওয়া হয়নি।’ রবিবার ধানমন্ডিতে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জেলার দফতর, উপ-দফতর সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী দেড় বছরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গতকালের বর্ধিত সভার মাধ্যমে নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে একটি গাইডলাইন দিয়েছেন নেত্রী। এ গাইডলাইন অনুযায়ী সবাইকে চলতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আশেপাশের লোকজনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে।’
জেলা নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখা যায় অনেক নেতা ইচ্ছামতো কমিটি করেন, আবার ভেঙে দেন। আবার কমিটি গঠন করেন। আবার কাউকে ইচ্ছেমতো বহিষ্কার করেন, কমিটি ভাঙেন। এটা করা যায় না। এটা আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রবিরোধী। কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির অনুমতি ছাড়া কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। আপনারা সুপারিশ করতে পারেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণমাধ্যমের কাছে আমাদের যেতে হয়, তারাও আসে। কিন্তু গণমাধ্যম স্পর্শকাতর বিষয়। তাদের সঙ্গে কৌশলী আচারণ করতে হবে। কারণ গণমাধ্যমের সবাই আওয়ামী লীগ করে না। তাই আমরা যখন গণমাধ্যমে কথা বলব, তখন অত্যন্ত সতর্কভাবে বলব। গণমাধ্যমের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এটা দলের স্বার্থে। আর গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের কাছে আসেন, দলের স্বার্থ রক্ষা করে তাদের তথ্য দিতে হবে। প্রেস রিলিজ দিতে হবে সতর্কভাবে। ঘরের কথা পরকে বলার সময় একটু সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যে সব জেলা ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় নেই, সেখানে স্থাপন করতে হবে। আপনাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে আমি নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত কার্যালয় স্থাপনের পদক্ষেপ নেব। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে বিভিন্ন চিঠি যায়, তা অফিস না থাকলে কোথায় যাবে তারও একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে (দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে) বিকাল পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সুযোগ আছে, দেখা করতে পারবেন। সকালেও আসি প্রায়। ওই সময়ও কেউ জরুরি মনে করলে দেখা করতে পারবেন ‘
প্রাথমিক বৈঠক শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত নেতাদের সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমের ওপর প্রশিক্ষণ দেন।
এরপর প্রতিটি জেলার একটি করে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। গতকাল গণভবনে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ৮টি বিভাগীয় জেলায় ৮ টি ল্যাপটপ বিতরণ করেন দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ল্যাপটপের অর্থায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন