চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বোলিংটাই বড় চিন্তা হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জন্য। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে তিন শতাধিক রান করেও বোলিং ব্যর্থতায় হারতে হয়েছিল।

সেই ম্যাচে একাদশে ছিলেন মোসাদ্দেক। জ্বলে উঠতে পারেননি। তাসকিন তো প্রস্তুতি ম্যাচে বাজে বোলিং করে দলে জায়গা হারান। প্রথম দুই ম্যাচে দলে সুযোগই পাননি। অবশেষে যখন পেলেন, দলকে এনে দিলেন আনন্দের উপলক্ষ। কিউইদের ৮ উইকেটের মধ্যে ৫টি নিয়েছেন এই দুই তরুণ। একটি রানআউট আর একটি করে উইকেটে নিয়েছেন রুবেল হোসেন আর মুস্তাফিজ।

বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে চার পেসার নিয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত হয়। একাদশ থেকে ছিটকে যান অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েস এবং আরেক তরুণ মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম আঘাত হানলেন তাসকিন। এই পেসার ফিরিয়েছেন লুক রঞ্চি (১৬) আর ৬৩ রান করা টেইলরকে। দুটি ক্ষেত্রেই ক্যাচ নিয়েছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। দারুণ বোলিংয়ে দলে ফেরার যথার্থতা প্রমাণ করেন তিনি। ৮ ওভার বল করে দিয়েছেন ৪৩ রান।

আরেক তরুণ মোসাদ্দেক তো স্পিন বিষে কিউইদের ঘায়েল করলেন। চার পেসারের মধ্যে ৩ জনের সংগ্রহ যেখানে ৪ উইকেট; সেখানে একাই ৩ উইকেট নিয়ে কিউইদের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিলেন। মোসাদ্দেকের দ্বিতীয় ওভারে শিকার হয়েছেন ৩৬ রান করা নেইল ব্রুম এবং কোরি অ্যান্ডারসন (০)। এরপর ২৩ রান করা জেমস নিশামকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করে তৃতীয় শিকার ধরেন তিনি। মোসাদ্দেকের বোলিং ফিগারটা দেখার মত- ৩ ওভার-১৩ রান ৩ উইকেট!