দালালদের হাতে জিম্মি শিক্ষা বোর্ড
পাসর্পোট ও এনআইডি অফিসের মত রাজধানীর বকশী বাজারে অবস্থিত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডও দালালদের হাতে জিম্মি। এখানে একাধিক দালাল চক্র সক্রিয় থাকলেও এদেরকে বাঁধা দেয়ার কেউ নেই। কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর সহযোগিতায় এরা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অপকর্ম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে শামিম ও শিহাবের আলাদা দুটি গ্রুপ রয়েছে। এরা স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের সাথে ভাল সম্পর্ক রেখে বিভিন্ন বয়সী দালালদের নিয়ন্ত্রন করে। আর ঐসব দালাল সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
গত দুই বছর ধরে এক ছাত্রের বয়স ঠিক করাতে বোর্ডের বিভিন্ন টেবিলে ধরনা দিচ্ছেন খালিদ হাসান নামে এক শিক্ষক। তিনি জানান, নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশন করার সময় ভুল করে এক ছাত্রের বয়স দুই বছর কম দেখাই। বোর্ড সেটি গ্রহণ করে নেয়। পরে ওই ছাত্র আমাকে ধরে। আমি যেহেতু কাজটি করেছি তাই আমাকে করে দিতে হবে। আর এই কাজ করতে গিয়ে ২ বছর ধরে বোর্ডে আসছি। এখন পর্যন্ত তিন বার ব্যাংকে ৫০০ টাকা করে ড্রাপট করেছি। গতকাল আমাকে জানানো হয়, আবার ব্যাংকে ৫০০ টাকা ড্রাফট করতে হবে।
এতে আমি রেগে গেলে এক তথ্য কেন্দ্র কর্মকর্তা বলেন, আপনার তো ম্যানেজ বুঝেন না। দুই বছর ধরে ফাইল নিয়ে ঘুরাঘুরি করছেন। কাজ হচ্ছে না। ফাইলের ভিতরে ৫০০ টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে বলবেন স্যার আমি বিকালে আসছি। দেখবেন হয়ে যাবে।
মার্কশিট, সার্টিফিকেট উঠাতে গিয়েও বিড়ম্বনায় পড়েন অনেকেই। গাজীপুরের ছাত্র হামিদ তার এসএসসি , মার্কশিট হারিয়েছেন। থানায় সাধারণ ডায়রি, পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তি সব প্রত্রিুয়া শেষ করে এক সপ্তাহ ধরে কাগজপত্র পাচ্ছেন না। অথচ তার একদিন পর জমা দিয়ে গতকাল কাগজ পেয়ে গেছেন এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি জানান। কিভাবে সেটা জানতে চাইলে হামিদ বলেন, ভাই এখানে অনেককিছু আন্ডার টেবিলে হয়। মামা (দালাল) ধরতে পারলে সকালে জমা দিয়ে বিকালে কাগজ পাওয়া যায়।
দালাল চক্রের সদস্য মাহফুজ বলেন, “এখানে আমার আত্মীয় স্বজন আছে।” এর পর সাংবাদিক বুঝতে পেরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
আরেক দালাল হাবিবের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের সহযোগিতা করতে আসি। যারা এখানে নতুন আসে কোন কিছু জানেন না তাদের সহযোগিতা করি । আর আমার কোন সমস্যা হলে শামিম ভাই দেখেন।
শিক্ষা বোর্ডে সংশোধন করতে আসা জামিরুল ইসলাম বলেন, “এটা আমার কাছে শিক্ষা অফিস মনে হয় না। মনে হয় ঘুষের অফিস। ঘুষ দিলে ভেতরে প্রবেশ করা যায়, ঘুষ না দিলে সারদিন বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।”
“আবার অনেক দালাল আছেন যারা সকাল থেকে এসে সামনের সারির জায়গা দখল করে পরে ১শ থেকে ৫শ টাকার বিনিময়ে তার অবস্থান বিক্রি করেন।”
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম জানান, আমরা বয়স সংশোধনের জন্য ১,০০০ টাকা এবং নাম সংশোধনের জন্য ৫০০ টাকা নেই। তবে কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত টাকা কাউকে দেয় তাহলে আমরা কোন দায়ভার নিতে পারব না। আমাদের এখানে সব কাজ নিয়ম মেনে চলে কোন ধরনের অভিযোগ থাকলে প্রশাসন দেখবে এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। বিডি24লাইভ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থায় যুক্ত হবেন ৭০০ শিক্ষার্থী, পাবেন সম্মানী
রাজধানী ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ও শৃঙ্খলা আনতে পুলিশের সঙ্গেবিস্তারিত পড়ুন
৮ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ
দেশের ৮ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার।বিস্তারিত পড়ুন
নুর: রাজনৈতিক দলের গোলামি করলে প্রজাতন্ত্রের চাকরি করতে পারবেন না
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, “যারা জনগণেরবিস্তারিত পড়ুন