বুধবার, জুলাই ২, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘দায়িত্ব আমাকে ভাল খেলতে সাহায্য করে’

বিরাট কোহলি, শুধু ভারত নয় পুরো ক্রিকেট বিশ্বের এ মুহুর্তে সেরা ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে, টেস্ট কিংবা টি-টোয়েন্টি, বিরাট কোহলি মানেই ২২ গজের ক্রিজে ধুন্ধুমারব্যাটিং।

 

ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির পর ভারতের টেস্ট দলের দায়িত্ব পান কোহলি। ব্যাটিংয়ের পর অধিনায়কত্বেও কোহলি সেরা। বর্তমান টেস্ট র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী ভারত এক নম্বর দল। কোহলির হাত ধরেই টেস্টের মুকুট পড়েছে ভারত।

 

কোহলির মতে, ভাল একটি টেস্ট দল পাওয়ায় দলকে নেতৃত্ব দিতে বেগ পেতে হচ্ছে না তার। একই সঙ্গে জয় ও ঝুঁকি নেওয়ার তাড়ণা থাকায় বিশ্বমঞ্চে আগ্রাসন দেখাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। নিজের ২৮তম জন্মদিনে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মাস্টার ক্লাস ব্যাটসম্যান।

 

আমাদের কণ্ঠস্বর’এর ঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটির চুম্বক অংশ দেওয়া হল:

 

প্রশ্ন: টেস্ট ক্রিকেটের সিংহাসনে আপনি ও আপনার দলের অবস্থান। তাজের অনুভূতি কেমন পাচ্ছেন?

বিরাট কোহলি: আমি এক কথায় গর্বিত। আমি গর্বিত যে, এমন একটা দলের অধিনায়ক আমি। দেখুন, কেউ শুরুর সময় ভাবেনা আমাকে এক নম্বর হতে হবে। ভাবে, যেটা খেলছি তাতে কী করে সেরা হব। কী করে প্রত্যেকটা ফরম্যাটে ভাল করব। ঠিক সেটাই করেছি আমরা। আর করেছি বলেই গত এক-দেড় বছরে এত ম্যাচ জিতেছি। আমাদের দলে প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে, সেটা বলা যাবেনা। আসলে আমাদের দলটা দারুণ। ছেলেরা প্রত্যেকে খুব ভাল। আমরা সবাই একে অন্যের খুব কাছের। একটা ভাল দল করতে গেলে এগুলো লাগে। প্রয়োজন হয় একে অন্যের কাছাকাছি আসা। মিশে যাওয়া।

 

প্রশ্ন: একটা সময় এমএসের সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেট খেলেছেন। তাঁর কাছ থেকেই পেয়েছেন অধিনায়কত্বের মুকুট। সে সময়ে ধোনির ক্লাসগুলো কেমন ছিল। এখন ওগুলো কতটুকুই কাজে আসছে?

বিরাট কোহলি: এমএসের (মহেন্দ্র সিং ধোনি)নেতৃত্বে যখন খেলতাম, নিজের ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে ভাবলেই চলত। ওর থেকে প্রচুর শিখেছি। দেখতাম, ও কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত ঠিক হতে পারে, ভুল হতে পারে। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে যে কোনও একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে আর তার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। পরে অধিনায়ক হওয়ার পর বুঝেছিলাম, এই সিদ্ধান্তগুলো এখন আমাকে নিতে হবে। আর দায়িত্ব বলছেন? দায়িত্ব আমাকে ভাল খেলতে সাহায্য করে। আমার দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে দেয়, নিজের ক্রিকেটের উন্নতি ঘটায়। আর এরকম দায়িত্ব থাকার সুবিধা হল, অন্যান্য জিনিস আপনার মাথায় ঢুকতে পারবে না।

 

প্রশ্ন: অধিনায়কত্বের প্রথম স্বাদের কথা মনে আছে? অস্ট্রেলিয়ায় পেয়েছিলেন…..

বিরাট কোহলি: মনে আছে, ওটা অ্যাডিলেড ছিল। ড্রেসিং রুমে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথাবার্তা একটা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম যে, যা-ই হোক, কাল অস্ট্রেলিয়া যত টার্গেটই দিক, আমরা সেটা তাড়া করব। আমি দলকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ওরা তা নিয়ে সহমত কিনা। সেটা চায় কিনা। ওরা বলল, রাজি। অস্ট্রেলিয়া যতই দিক, ওরা সেটাকে তাড়া করবে।

 

প্রশ্ন: এরপর তো ম্যাচটি হেরে গেলেন? লাভ হল কি আগ্রাসন দেখিয়ে….

বিরাট কোহলি: আমরা রান তাড়া করে হেরে গিয়েছিলাম ঠিকই। কিন্তু আমার দলের সাহস, চরিত্র—সব পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। সেদিনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে, আমার দল ঝুঁকি নেবে। নিজেদের কমফোর্ট জোনে না থাকলেও এমন কিছু জিনিস করতে চাইবে, যাতে দলের লাভ। করবে শুধু দলের স্বার্থের কথা ভেবে।

 

প্রশ্ন: বিদেশে পারফরম্যান্স নিয়ে কোনো আক্ষেপ কাজ করে?

বিরাট কোহলি: বিশ্বের যে কোনও মাঠেই আমি যা-ই না কেন, জেতাটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য থাকে। ক্রিকেটটাতো সেভাবেই খেলা হয়। আমি অন্তত সেভাবে খেলি। মাথায় রাখি যে, যদি জিতি, খুব ভাল। বড় সাফল্য। কিন্তু হারলে দুনিয়া শেষ হয়ে যাবেনা। কেউ সব ম্যাচ জিততে পারেনা। পারলেতো অজেয় হয়ে যেত। কিন্তু সেটা কারও পক্ষে হওয়া সম্ভব নয়। ফাঁকফোকর আমাদেরও আছে। ভুল আমরাও করি। কিন্তু আমরা নিজেদের উন্নত করার চেষ্টা করে যাই। সেই চেষ্টাটা সব সময়ই থাকে।

 

প্রশ্ন: নিজেকে কিভাবে তৈরী করেছেন। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে তো উপরে উঠছেন। পিছনের গল্পটা…

বিরাট কোহলি: প্রথম প্রথম কয়েকটা টেস্ট ম্যাচে মনে হত, কেউ আমাদের সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে। প্রচুর ভুল করতাম। প্ল্যান ‘বি’ কী, জানতাম না। কিন্তু ওই সময়টা আমাকে অনেক শিখিয়েছে। আমি শিখেছি যে, হারের ঝুঁকি নিয়ে জয়ের জন্য ঝাঁপানোটা খুব দরকার। কারণ তাতে আমি নিজেকে যেমন অধিনায়ক হিসেবে খুঁজে পাব, ঠিক তেমন আমার সতীর্থরাও নিজেদের দল হিসেবে খুঁজে পাবে। কতটা উন্নতি করেছি, বলতে পারবনা। কিন্তু এটুকু বলব যে, প্রচুর শিখেছি। এখনও শিখছি।

 

প্রশ্ন: কোন পরিচয়ে সবচেয়ে বেশি গর্ববোধ হয়। ব্যাটসম্যান কোহলি না টেস্ট অধিনায়ক কোহলি?

বিরাট কোহলি: নিজেকে প্রথমে ভারতের টেস্ট ক্রিকেটার ও তার পরে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ভাবলে খুব গর্ব হয়। একটা টেস্ট দল হিসেব ভাল খেলা আমার দায়িত্ব। আমি সেটা উপভোগও করি। সাদা জার্সি পরে মাঠে নামাটা আমার কাছে গর্বের একটা বিষয়। কারণ টেস্ট ক্রিকেট আপনার যেভাবে পরীক্ষা নেবে, কেউ নেবেনা।

 

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন

  • শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন
  • আজীবন সম্মাননা পেলেন টেন্ডুলকার
  • কিস্তিতে খেলোয়াড়দের বকেয়া শোধ করবে ‘দুর্বার রাজশাহী’
  • টানা ৮ ম্যাচ জেতার পরও এলিমিনেটরে হেরে রংপুরের বিদায়
  • বড় জয়ে সেরা আটে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল রিয়াল
  • নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
  • প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
  • নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
  • ভারতের বিপক্ষে ১৩৩ রানের বিশাল পরাজয় বাংলাদেশের
  • আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
  • বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে হামলার হুমকির পর এবার বয়কটের ডাক
  • বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে থাকবেন তামিম!