দায়িত্ব বুঝে পাননি আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা
জাতীয় সম্মেলনের পর নতুন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে এখনও দায়িত্ব বণ্টন করেনি আওয়ামী লীগ। ফলে পদ পেলেও কাজ শুরু করতে পারছেন না তারা। কারণ, কে কোন বিভাগের নেতাদের সঙ্গে কাজ করবেন-সেটা জানা না থাকায় আগে থেকে কেউ কাজ শুরু করতে চাইছেন না।
তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতারা বলছেন, দায়িত্ব বণ্টনে বেশিদিন সময় নষ্ট করা হবে না। আগামী ৮ নভেম্বর দলের কার্যনির্বাহী বৈঠকে এই দায়িত্ব বন্টন হবে। নতুন কমিটিতে ছয় জন পদে বহাল থাকলেও দায়িত্ব পুনর্বণ্টন হতে পারে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
আওয়ামী লীগের আট সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে আগের ছয় জনের মধ্যে আহমদ হোসেন ঢাকা বিভাগের, বি এম মোজাম্মেল হক খুলনায়, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেটের, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বরিশালের, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন রাজশাহীর এবং খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রংপুর বিভাগের দায়িত্ব পালন করতেন।
আর নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এদের মধ্যে একজনের অন্তর্ভূক্তি মূলত একটি বিভাগ বাড়ার কারণে। আগে সাতটি বিভাগের জন্য সাতজন সাংগঠনিক সম্পাদক থাকলেও ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য আরও একজনকে দায়িত্ব দেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, নতুন সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে আহমদ হোসেনকে ঢাকা বিভাগ থেকে সরিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগে, এ কে এম এনামুল হক শামীমকে ঢাকা বিভাগে এবং মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে চট্টগ্রা্ম বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। বাকি পাঁচ সাংগঠনিক সম্পাদক পুরানো দায়িত্বে বহাল থাকার সম্ভবানাই বেশি।
একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আমি আগে যে বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছি এখন আবার সে বিভাগের দায়িত্ব পালন করতে চাই। এতে দলের কাজ আরও গতিশীল হবে। কারণ নতুন কোন বিভাগে আমাকে দায়িত্ব দিলে আমাকে আবার নতুন করে গোছাতে হবে। এতে সময় নষ্ট হবে।’
তবে বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমার কোন বিশেষ পছন্দ নেই। দলীয় সভাপতি আমাকে যে বিভাগের দায়িত্ব দেবেন, আমি সেখানেই দায়িত্ব পালন করবো।’
একই কথা বলেন, নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম। তিনি বলেন, ‘দল আমাকে যে বিভাগের দায়িত্ব দেবে আমি সেই বিভাগের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছি।’
জানতে চাইলে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘সাংগঠনিক সম্পদকের দায়িত্ব বন্টন করা হবে আমাদের আগামী কার্যানির্বাহী বৈঠকে। কে কোন বিভাগের দায়িত্ব পাবেন, সেটা আগে থেকে কীভাবে বলবো?’।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন,সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে সবাই নতুন মুখ আসলে বা সবার দায়িত্ব পাল্টে দিলে আগামী নির্বাচনে প্রভাব পরতে পারে। কারণ এ সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে তৃণমূলের সম্পর্ক আছে। তাই খুব বেশি রদবদল হবে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন