দিনভর শরীর সুগন্ধি রাখার ১৫টি টিপ্স
বোতল বোতল পারফিউম গায়ে ঢেলেও সারাদিন শরীর সুগন্ধি থাকছে না? শুধু গরমকাল নয়, শীতকালেও শরীরে দুর্গন্ধ হতে পারে। কী করে সারাদিন শরীরকে সুগন্ধি রাখবেন এই চিন্তা যদি সারাক্ষণ আপনার মাথাব্যথার কারণ হয় তো দেখে নিন সহজ ক’টি টিপ্স।
সব সময় স্নান করে উঠেই সুগন্ধি মেখে নিন। এতে সুগন্ধির প্রভাব বেশিক্ষণ শরীরে থাকে। শীতকালে আগে সুগন্ধি ময়শ্চারাইজার মেখে তার পর পারফিউম স্প্রে দিন। গরমকালে স্নান করে উঠে আগে অ্যান্টি-পার্সপাইরান্ট সারা শরীরে ভাল করে মেখে তার উপর পারফিউম লাগান। অনেকক্ষণ সুগন্ধ থাকবে।
সব সময় সঙ্গে রাখুন ফুট স্প্রে। বেশ কয়েক ঘণ্টা জুতো পরে থাকার পর ঘাম বসে গন্ধ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। সেই সময়ে যদি জুতো খুলতে হয় তবে লজ্জার শেষ থাকে না। তাই দু’তিন ঘণ্টা অন্তর জুতো খুলে পায়ে ফুট স্প্রে করুন।
শরীরের যে জায়গাগুলিতে স্প্রে করা মাস্ট সেগুলি হল— ঘাড়, কানের পিছন দিক, বগল, পিঠের মাঝামাঝি, ব্রেস্টের চারপাশে, নাভির চারপাশে আর থাইয়ের ফাঁকে।
কবজিতে পারফিউম স্প্রে করে কখনও ঘষবেন না। ওতে পারফিউমের গন্ধ বেশিক্ষণ থাকে না বরং উড়ে যায় তাড়াতাড়ি।
সারাদিন অন্তর্বাস পরে থাকার ফলে শরীরের গোপনাঙ্গে ঘাম বসে দুর্গন্ধ হতে বাধ্য। তাই সব সময় সঙ্গে রাখুন ওয়েট ওয়াইপ্স। এক্ষেত্রে বেবি ওয়াইপ্স ব্যবহার করাই ভাল। কোনও বাজে কেমিক্যাল থাকে না। দিনের মধ্যে দু’তিনবার ওয়াইপ দিয়ে গোপনাঙ্গ মুছে নিন।
কী খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে শরীরের স্বাভাবিক গন্ধ কেমন থাকবে। পিঁয়াজ, রসুন, বেশি মশলাপাতি দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। এমনকী রেড মিট-ও। খাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এই সব পদার্থের গন্ধ ছড়িয়ে থাকে ত্বকে। তা ছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপানও শরীরে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
সারাদিন যত বেশি জল পান করবেন তত বেশি শরীরের কোষে কোষে জমে থাকে রেচন পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে এবং শরীরকে ঝরঝরে রাখবে।
নিয়মিত শ্যাম্পু করুন। শরীর সুগন্ধি রাখলেও চুলে যদি ময়লা থাকে তবে তা থেকে শরীরেও দুর্গন্ধ ছড়ায়। তিনদিন ছাড়া হালকা হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তাছাড়া ভাল ব্র্যান্ডের হেয়ার স্প্রে রাখুন সঙ্গে। গরমকালে দিনের বেলা হেয়ার স্প্রে করে বাইরে বেরন।
আলমারি বা ওয়ার্ডরোবে এয়ার ফ্রেশনার রাখুন এবং মাঝে-মধ্যে স্প্রে করুন অ্যাপারেল পারফিউম।
দিনে অন্তত দু’বার পোশাক পরিবর্তন করুন। বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে পোশাক অবশ্যই পাল্টাবেন। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুতেই শরীরের অতিরিক্ত জলীয় পদার্থ ত্বকের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে এবং পোশাকে তার গন্ধ লেগে থাকে। তাই ১২ ঘণ্টা অন্তর হয় গা ধুয়ে নয়তো হালকা করে গা মুছে পরিষ্কার পোশাক পরুন।
ভাল সুগন্ধি বাথিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন, সে সাবান হোক বা বডিওয়াশ। স্নান করে জোরে জোরে গা মুছবেন না। হালকা করে প্যাডিং করুন। সুগন্ধটা গায়ে থাকতে দিন।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে দু’বার অবশ্যই ব্রাশ করুন, বিশেষ করে রাতে শোওয়ার আগে। তাছাড়া সব সময় সঙ্গে রাখুন নিউট্রাল ফ্লেভারের মাউথ ফ্রেশনার। খাবার খাওয়ার পরেই ব্যবহার করুন।
গরমকালে দু’তিন দিন ছাড়া আর শীতকালে প্রতি সপ্তাহে স্নানের তোয়ালে কেচে নেওয়াটা জরুরি না হলে স্নানের পরে গা মুছলে সাবান-বডিওয়াশের গন্ধ উধাও হবে।
বিছানার চাদর, বালিশের কভার প্রতি সপ্তাহে পাল্টান। শুধুমাত্র শরীরের সুগন্ধের জন্য নয়, রোগব্যাধির ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে মুক্তি পেতেও এই অভ্যাসটি বজায় রাখুন।
আলো, উত্তাপ আর আর্দ্রতা পারফিউম নষ্ট করে দেয়। সুগন্ধির প্রভাবও কমিয়ে দেয়। তাই সব সময় পারফিউম রাখবেন ঠান্ডা এবং শুকনো জায়গায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন