দিল্লির রাস্তায় প্রকাশ্যে ২৬ বার ছুরিকাঘাতে তরুণী হত্যা(ভিডিও)
ভারতের উত্তর দিল্লির বুরারি এলাকার একটি ব্যস্ততম সড়ক। আশপাশে লোকজন যার যার কাজে ব্যস্ত। গাড়িও চলাচল করছিল। রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল ২১ বছর বয়সী এক তরুণী স্কুল শিক্ষিকা। হঠাৎ এক যুবক ছুরি হাতে তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে লম্বা ছুরি দিয়ে তরুণীকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করতে থাকে।
যুবক প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতার সঙ্গে যখন একের পর এক ছুরি চালাচ্ছিল তখন আশপাশের লোক কিছুটা দূরত্ব বাজার রেখে সেই শিক্ষিকার মৃত্যুর দৃশ্য দেখছিলেন তাকিয়ে। মাঝে মাঝে দুই একটা গাড়িকে হর্ন বাজিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজের বদৌলতে খুনের এই দৃশ্য দুনিয়ার মানুষ দেখছে।
হামলার এক পর্যায়ে শিক্ষিকা মাটিতে লুটিয়ে পরে। তখনও চলতে থাকে ধারালো ছুরির কোপ। শিক্ষিকার নড়াচড়া যখন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় তখন থামে যুবকের ছুরির আঘাত। তখন ঐ্ এলাকা রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। এ পর্যায় আশপাশে বেশ কয়েকজন লোক দাঁড়িয়ে দেখছিল পুরো ঘটনা। পরে জানা যায় ঐ তরুণীকে ২৬ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির ঐ রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন স্কুলশিক্ষিকা করুণা। হঠাৎ করেই তাঁর সামনে সজোরে ব্রেক কষে এক মোটরসাইকেল চালক। কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই ওই তরুণীকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয় ওই যুবক। এরপর চলতে থাকে ছুরির আঘাত।
শরীরের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে ছুরির আঘাতগুলো চলতে থাকে। আশপাশে কিছু লোক দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য তখন দেখছিল। কোনো দিকে না তাকিয়ে ছুরি চালানোর সঙ্গে চলছিল লাথিও। কয়েক মিনিট ধরে হামলা চলতে থাকে এটা। তরুণীর দেহ পুরোপুরি নিথর হয়ে আসলে হামলাকারী যুবক পালিয়ে যায়। পুরো দৃশ্যটি রাস্তায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এই সময় রাস্তা দিয়ে লোকজন আসা যাওয়া করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘাতকের নাম সুরেন্দ্রর সিং। দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত তরুণীর পরিবার পাঁচ মাস আগে সুরেন্দ্রর সিংয়ের বিরুদ্ধে হয়রাণি ও নির্যাতনের অভিযোগ করেন। ৩৪ বছর বয়সী সুরেন্দ্রর সঙ্গে করুণার বিবাহ বিচ্ছেদ মাঝপর্যায়ে ছিল। তবে পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি তা পরিষ্কার নয়।
পুলিশের দাবি, দুই পরিবার সমঝোতায় পৌঁছেছিল।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুজন পথচারী হামলাকারীকে ঠেকানোর মৃদু চেষ্টা করলেও ওর হাতে ছুরি থাকায় শেষ পর্যন্ত তারা থেমে যায়।
২৬ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করার পর তরুণীর মাথা পাথর দিয়ে আঘাতে আঘাতে থেতলে দেয়া হয়। পরে সে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী মনীষ কুমার করুণাকে একটি অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি বলেন, ‘আমি মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করেছি। আমি একশ বার পুলিশকে ডেকেছি কিন্তু তারা আসেনি। তারপর অ্যাম্বুলেন্স কল করি। কেউই আসেনি।’
করুণার পরিবার হাসপাতালের বাইরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে।
করুণা ভাই জানান, ঐ লোকটি তার বোনকে দীর্ঘদিন ধরে হেনস্থা করছে। তারা থানায় অভিযোগ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো গেল না।
https://youtu.be/z5fqsqugoGQ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন