দিল্লি সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে, বিচারের মুখোমুখি করা উচিত: জাফরুল্লাহ
মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, পানি ও বাতাস শুধু মানব সভ্যতার জন্য গোটা প্রাণীকুলের জীবন রক্ষার মাধ্যম। ফলে যে দেশ বা যারাই পানি ও বাতাসের অবাধ প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করছে তারা মূলত মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে।
তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন নদীর পানি প্রবাহে দিল্লি সরকার বাধার সৃষ্টি করে মূলত মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে। ফলে এর বিচার হওয়ার উচিত। হাসিনা সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারপ্রার্থী হয়ে ভারতকে বিচারের মুখোমুখি করা। অন্যথা এর কোনো সুরাহা হবে না।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার গঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বিতর্কিত ফারাক্কা বাঁধ পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা সংক্রান্ত বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত দিয়েছে দিল্লী। এই বাঁধ তো বিহারেই। ফারাক্কা বাঁধ সরাতে হলে বা ভাঙতে হলে তাকেই (নীতিশ কুমার) করতে হবে। নীতিশ কুমার সজ্জন ব্যক্তি হলে কেন্দ্রের দিকে তো তাকিয়ে থাকার দরকার নেই, নিজেরাই এটা সরিয়ে ফেলতে পারেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকের আগে সংবাদমাধ্যমকে নীতিশ কুমার বলেন, ফারাক্কা বাঁধের কারণে গঙ্গায় বিপুল পরিমাণ পলি জমছে। আর এ কারণে প্রতিবছর বিহারে বন্যা হচ্ছে। এর একটা স্থায়ী সমাধান হলো ফারাক্কা বাঁধটাই তুলে দেওয়া।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বলেন, পানি, বাতাস, নদী-প্রকৃতিকে যারা বাধাগ্রস্ত করে তারাও মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে। পানি-বাতাস বাধাগ্রস্ত করে লাখ লাখ লোকের জীবনহানি করাও মানবতাবিরোধী কাজ। শুধু তাই নয়, দিল্লি সরকার বিভিন্ন রাজ্যে গো-মাংসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মূলত রাষ্ট্রকে একটি চরম সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, খোদ হিন্দু শাস্ত্রেও গো-মাংস খাওয়ার কথা উল্লেখ আছে। মোদির পূর্বপুরুষরাও গো-মাংস খেয়েছেন এর তথ্য-প্রমাণ আছে। ফলে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ন্যাক্কারজনক। এর বিরুদ্ধে বিশ্বসমাজকে আরো সোচ্চার হতে হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপি ও গণফোরামসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, আগামী ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দিল্লি সফরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সবাই রাজপথে সমাবেশ করুন এবং দিল্লির এসব বৈষম্যের কথা জনগণকে অবহিত করুন।
প্রসঙ্গত, তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহার, প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে জোট নিরপেক্ষ নীতির বরখেলাপ ও বাংলাদেশকে ভারতের অস্ত্রের ডাম্পিং সেন্টার বানানোর চক্রান্ত বন্ধ, বাণিজ্য ঘাটতি দূর, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, বাংলাদেশি পণ্যের অশুল্ক বাধা দূর করাসহ ভারতের সাথে অমীমাংসিত সকল সমস্যা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা, না হলে আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপনের মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন বজলুর রশিদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রকন প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন