দীর্ঘদিন পর হোয়াইটওয়াশের সামনে বাংলাদেশ!
ক্রাইস্টচার্চের ৭৭ রানের পরাজয়ের পর নেলসনে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ছিল বাংলাদেশের; কিন্তু স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বোলাররা জয়ের ভিত্তি তৈরি করে দিতে পারলেও, পারেননি ব্যাটসম্যানরা। ফলে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬৭ রানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজাদের। মাশরাফিদেরকে চোখ রাঙ্গাচ্ছে এখন হোয়াইটওয়াশের লজ্জা।
স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডে ৩১ ডিসেম্বর, ভেন্যু নেলসনের স্যাক্সটন ওভালই। বাংলাদেশ কি পারবে এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে। পারলে তাসমান সাগরের পাড়ে থার্টি ফাস্ট নাইটের আনন্দ উজ্জাপনটা খারাপ হবে না কিছুতেই।
যদি না পারে বাংলাদেশ? তাহলে একটা দীর্ঘ পথচলায় বিরতিই পড়বে টাইগারদের। দুই বছর চার মাস পর যে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ নিতে হবে তাদের!
২০১৪ সালের আগস্টে ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। ক্যারবীয় দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত ৩ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। এরপর ৭টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ, যার ৬টিতেই জয়ী লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
সর্বশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারলেও (২-১) ওয়াইটওয়াশ চোখ রাঙ্গাতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাড়ায় বাংলাদেশ; কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে গেলো মাশরাফি বাহিনী। সিরিজ আর এখন হাতে নেই, হাতে আছে কেবল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মাধ্যম- তৃতীয় ওয়ানডে।
২০১৪ সালের ওয়েস্টইন্ডিজ সফরের পর পালাবাদল হয় বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি নেতৃত্বেরও। মূলতঃ সে বছরটা ভালো যাচ্ছিল না মুশফিক-সাকিবদের। ২০১৫ বিশ্বকাপ সামনে রেখে ২০১৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে রঙ্গিন পোশাকের নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হয় মাশরাফির কাঁধে। এরপরই বদলে যায় বাংলাদেশের পরফরমেন্স। সে বছরই (ডিসেম্বরে) জিম্বাবুয়েকে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে মাশরাফিরা।
এরপর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে ফিরে পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে ওয়ানডে (৩-০) ও টি-টোয়েন্টিতে (১-০) হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ টাইগাররা জিতে নেয় ২-১ এ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও তাই। এরপর গত বছর নভেম্বরে জিম্বাবুয়েকেই ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ করে টানা পঞ্চম সিরিজ জয়ের স্বাদ নেয় মাশলাফিরা। এবছরই সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানকে ২-১ এ সিরিজ হারানোটা ছিল টাইগারদের টানা ছয়টি সিরিজ জয়। অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ক্রমানুসারে সপ্তম সিরিজে ২-১এ হারে বাংলাদেশ।
২০১৪ সালের আগস্টে ওয়েস্টইন্ডিজ সিরিজের পর এবার আবার বিদেশের মাটিতে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলতে গেলো বাংলাদেশ। যা বড় চ্যালেঞ্জই হয়ে এসেছে টাইগারদের জন্য। বাস্তবতার জমিনে পা রেখে ভাবলে, হয়ত টাইগারদের প্রথম দুই ওয়ানডে থেকে প্রাপ্তির আছে অনেক। সেই প্রাপ্তিকে পুঁজি করে কি তৃতীয় ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে মাশরাফিরা? না পারলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা ফিরে আসবে বাংলাদেশের ভাগ্যে। তাও সেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই, যাদেরকে ঘরের মাঠে ২০১০ ও ২০১৩ সালে বাংলাওয়াশ করেছিল টাইগাররা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন