দীর্ঘ সম্পর্কে জড়িয়ে থাকা জুটিদের জীবনে যে ৫টি জিনিস ঘটে
কারো সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কে জড়িয়ে থাকলে নানা পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে সম্পর্ক খুব গভীর হলে দুজনের চিন্তাধারা বদলে যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ এবং ‘পাওয়ারস অব টু’ বইয়ের লেখক ওল্ফ শেঙ্ক। বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘ সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন এমন মানুষদের পরিবর্তন ও মানসিকতা বিষয়ে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত ভাষা তৈরি হয়। দীর্ঘ দিনের সম্পর্কে তা গড়ে ওঠে। এই গোপন ভাষার সঙ্গে অন্যরা পরিচিত নন। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের কমিউনিকেশন প্রফেসর রবার্ট হুপার জানান, এগুলো অন্তরঙ্গ ভাষা। গভীর বন্ধন এবং রোমান্টিক সম্পর্কের কারণেই এমন হয়ে থাকে। এসব ভাষা দুজন দুজনের বিশেষ নাম দিয়ে থাকেন বা গোপন কোনো কৌতুক হতে পারে। সম্পর্ক নিয়ে কে কতটা তৃপ্ত তা ফুটে ওঠে এসব ভাষায়।
২. নিজেকে গোপন করার প্রবণতা লোপ পায়। নিজেকে মেলে ধরা খুব সহজ বলে মনে হয়। দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। সমাজে মানুষ অন্য যেকোনো মানুষের থেকে নিজের অনেক বিষয় গোপন রাখেন। এটা চিন্তা-ভাবনা বা আচরণগত কারণ হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুজন দুজনের সামনে একেবারে উন্মুক্ত থাকেন। তাদের কথা-বার্তা ও চাল-চলনে কোনো নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে হয় না। কোনো সেন্সরেরও প্রয়োজন নেই। মনের গোপন চিন্তা বা চাহিদা ইত্যাদি প্রকাশেও কোনো লজ্জাবোধ কাজ করে না।
৩. ১৯৮৭ সালের এক গবেষণায় মনোবিজ্ঞানী রবার্ট জ্যাজোনক জানান, দীর্ঘ দিন সম্পর্কে জড়িয়ে থাকা জুটিদের মধ্যে ধীরে ধীরে একই চেহারা ফুটে ওঠে। তারা একই সঙ্গে থাকেন, একই ধাঁচের কথা বলেন, একই খাবার খান এবং একই সঙ্গে অন্যান্য সময় কাটান। এভাবে তারা একে অপরের আয়নায় পরিণত হন। এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। সম্পর্কের এমন এ কাঠামো যা বহু সময়ের পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে পরিণত হয়েছে।
৪. দুজনের কথাও যেন একইরকম শোনায়। ব্যক্তিগত ভাষা গড়ে ওঠার কারণে এমনটা হয়ে থাকে। বিশেষ অর্থে কথা বলার সময় একই ধ্বনি বা উচ্চারণে কথা বলেন দুজন। দুজনের কথার ধাঁচ, অর্থ, আকার-ইঙ্গিত একইরকম হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে। মনোবিজ্ঞানীরা একে ‘আবেগের সংক্রমণ’ বলে মনে করেন। জুটিরা বহু সময় একসঙ্গে থাকলে একে অপরকে অনুকরণ করার চেষ্টা করেন। ২০১০ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, নতুন পরিচিত যারা একই ধরনের কথা বলেন তারা তিন মাসের মধ্যে ডেটিং করার সুযোগ পেয়েছেন।
৫. বহুকালের সম্পর্কে জড়িয়ে থাকলে দুজনের মধ্যে নিজস্ব কিছু কৌতুক চালু হয়। এগুলো গোপন কৌতুক। এর মর্মার্থ দুজনই বোঝেন। এদিক থেকেও তারা একইরকম হয়ে ওঠেন। ২০০৭ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝে নেন এখন কি বিষয়ে কথা উঠতে পারে। এটা দীর্ঘকালের সম্পর্কে কল্যাণে ঘটে থাকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন