দুঃস্থদের খাবার খেল বিএনপি নেতাকর্মীরা
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীতে দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচি। আয়োজনে বিএনপিপন্থি সংগঠন জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল। ঘটনাস্থল নয়াপল্টন। সংখ্যায় বেশি না হলেও খাবার নিতে আসলো বেশ কিছু দুঃস্থ মানুষ। কিন্তু খাবার পেলো না সবাই। কারণ, নেতা-কর্মীরাই খেয়ে ফেলেছেন খাবারের একটি বড় অংশ।
শুক্রবার দুপুরে বিএনপি কার্যালয়ের নিচ তলায় এই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে বিব্রত দলটির অনেক নেতা-কর্মী। বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
সকালে এই কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পৌনে এক ঘণ্টার এই সংবাদ সম্মেলন শেষে নিচতলায় দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়াও।
উপস্থিত দুঃস্থদের অনেকেই খাবার নিতে এসে খালি হাতে ফিরে গেছেন। এ সময় ক্ষোভ জানান তারা। ওই কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, মির্জা ফখরুলের সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রিত না থাকলেও ভিড় জমায় নেতা-কর্মীরা। তাদের চাপে সাংবাদিকরাও জায়গা করে নিতে হিমশিম খান। এরাই আবার সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দুঃস্থদের খাবার খেয়ে নেন।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুঃস্থ নারী আরজিনা বেগম। তিনি জানান, ‘ক্যাবা আমাক ডাকল। খাবার তো পাইলাম না।’
কহিনুর নামে এক নারী জানাল, তাকে রামপুরা থেকে আনা হয়েছে। কিন্তু তিনিও খাবার পাননি। তিনি বলেন, ‘আমারে কেন আনলো?’।
বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘এই ধরনের অনুষ্ঠান মিডিয়ায় প্রচারের জন্য আয়োজন না করে, যে উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছে সেটাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত।’
অন্য এক নেতা বলেন, ‘দুঃস্থ ও অসহায়দের মধ্যে খাবার বিতরণ করার কথা বলা হলেও আমাদের দলের নেতাকর্মীরাই তা খেয়ে ফেলেছেন। এটা কোনোভাবেই মানা যায় না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, ‘নেতাকর্মীদেরও তো পেট আছে। তারা খাবে না? তারাও খাবে। এইটা কোনো সমস্যা নয়।’
গয়েশ্বর দুঃস্থদের খাবার নেতা-কর্মীদের খেয়ে ফেলায় সমস্যা না দেখলেও এ নিয়ে সংবাদ তৈরিতে সমস্যা দেখছেন। তিনি বলেন, ‘দেশে এতো সমস্যা, সেগুলো নিয়ে আপনারা সংবাদ করেন না। কে খাবার পেল না, সেটি নিয়ে সংবাদ করছেন কেন। এটা তো এই মুহূর্তে দেশের কোনো সমস্যা না। আর খাবার যেখানে আছে, সেখানে কেউ পাবে, কেউ পাবে না- এই অভিযোগও থাকবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি বলেন, ‘আমি তো আর সবাইকে খাবার দিতে পারবো না। আমি যতোক্ষণ ছিলাম ততোক্ষণ সবাই খাবার পেয়েছে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন