দুই পরিবারকে রাজি করানোর পর প্রেমিক…
আমাদের সমাজে ভালোবাসার সম্পর্ককে সহজভাবে নেয়ার মানসিকতা এখনো গড়ে ওঠেনি সবার মধ্যে। ফলে একটি ভালোবাসার সম্পর্ককে সামাজিক মর্যাদা দিতে গিয়ে মুশকিলে পড়তে হয় প্রেমিক-প্রেমিকাকে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুই পরিবারের কেউই ভালোবাসার সম্পর্ককে মেনে নিতে রাজি হয় না। তখন শুরু হয় অভিভাবকদের রাজি করানোর সংগ্রাম। অবশেষে ছেলেমেয়ের কল্যাণের কথা ভেবে রাজি হয় দুই পরিবার।
কিন্তু দুই পরিবারকে রাজি করানোর পর যদি প্রেমিক-প্রেমিকার কোনো একজন বিয়েতে অনাগ্রহ হন, তখন ব্যাপারটা কেমন দেখাবে?
এমনই এক পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন একজন প্রেমিকা। তার সমস্যার কথা জানাতে ছুটে যান ভারতের একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছে।
নির্জনা জাহান (ছদ্মনাম) বলেন, “ আমি খুবই বিভ্রান্তির মধ্যে আছি। কারণ আমার জীবন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আমার বয়স ২৭। আগ্রায় থাকি। একটি ছেলের সঙ্গে আমার পাঁচ বছর ধরে সম্পর্ক। গত চার বছর ধরে আমরা উভয়ই দুই পরিবারকে বিয়েতে রাজি করানোর চেষ্টা করে আসছি। প্রথম দিকে, আমার মা-বাবা এই সম্পর্কের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু এখন দুই পরিবারই রাজি।”
নির্জনা বলেন, “কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে, তার পরিবার স্বেচ্ছায় রাজি হয়নি। গত সেপ্টেম্বর আমার বাবা-মা তার অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করে। তারপর থেকেই আমার মা-বাবা বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করার জন্য তাগাদা দিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের সব চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে।”
কারণ এত কিছু করে দুই পরিবারকে রাজি করানোর পর এখন বিয়েতে আগ্রহ নেই নির্জনার ছেলেবন্ধুর।
“মাঝে মাঝে সে বলে, তুমি মুক্ত। তুমি চাইলে যা খুশি তা করতে পার। যদিও সে আমাকে বিয়ে না করার কথা কখনো বলেনি। কিন্তু সে তার সর্বোচ্চ চেষ্টাটি করছে না। আমার মা-বাবা এ নিয়ে বেশ হতাশ। তারা এখন আমার জন্য অন্য ছেলে খুঁজছে। কিন্তু আমি অন্য কোনো ছেলেকে বিয়ে করতে চাচ্ছি না। এখন আমি কী করব? দয়া করে উপায় বলুন।” নির্জনার আকুতি।
ক্লিনিক্যাল মনোবিজ্ঞানী বর্ষা পাটকার মেয়েটিকে পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, “আপনার ছেলেবন্ধুটিকে আপনাদের বাড়িতে আসতে বলুন। আপনার উপস্থিতিতে মা-বাবার সঙ্গে তাকে কথা বলতে বলুন। আপনার পরিবারের সঙ্গে তার সামনাসামনি কথা বলা এবং তার সিদ্ধান্ত জানানোটা এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
মনোবিজ্ঞানী বলেন, “যদি এটি সম্ভব না হয়, তাহলে মনে মনে একটি সময়সীমা নির্ধারণ করুন। কত দিন পর্যন্ত তার জন্য অপেক্ষা করবেন এবং তার পরিবার এই বিষয়টি গ্রহণ করে নেবে। এটি হতে পারে তিন থেকে ছয় মাস। তবে এই সময়সীমার কথা আপনার ছেলেবন্ধুকে জানাবেন না। এটি শুধু আপনার মনে মনে রাখুন। এই সময়ের মধ্যে তাকে বিয়ে সম্পর্কে কোনো কথা বা চাপ প্রয়োগ করবেন না। দেখবেন আপনার প্রশ্নের উত্তর ঠিকই পেয়ে যাবেন। বিয়ে হোক বা না হোক ব্যাপারটিকে সহজভাবে গ্রহণ করুন।” সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন