লালনের গানের কথামতো তিন পাগলে মেলা হয়নি টঙ্গিতে। পাগল ছিল মাত্র দুজন। তাদের কাছে কেউ যায়ওনি। তবে তারা যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা ভাবাই যায় না। এক পাগল আরেক পাগলকে ছুরিকাঘাত করে মেরে ফেলেছে।

নিরীহ এক পাগল এমন নৃশংসকাণ্ড করে বসলো! কারণটি কী? পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, আগে দুই পাগলে বসবাস করতো নরসিংদীতে। সেখানে তারা এক সঙ্গে ঘুরতো, বেড়াতোও। এক সময় তারা নরসিংদী ছেড়ে আসে। দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিন দেখা সাক্ষাৎ ছিল না।

এরপর শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করেই তাদের দেখা হয়। টঙ্গীর স্টেশন রোড ফুটওভারব্রিজের ওপর তারা মুখোমুখি হয়। এসময় একজন আরেকজনের ওপর চড়াও হয়। বলেন, ‘তুই আমাকে নরসিংদীতে মারছিস। আজ তোকে মারবো। এই বলেই তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এক পাগল।

নিহত ব্যক্তির নাম জানা যায়নি। তবে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বিল্লাল হোসেন নামে এক যুবককে আটক করেছে। সে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রাখালনগর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গীর স্টেশন রোড ফুটওভারব্রিজের ওপর ভিক্ষা করছিলেন এক ভিক্ষুক। এসময় ছিনতাইকারী বিল্লাল ওই ভিক্ষুকের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভিক্ষুক বাধা দিলে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহতের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বাংলামেইলকে জানান, ছুরিঘাতকারী আর নিহত ব্যক্তি একে অপরের পরিচিত ছিল। তারা কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ ছিল। লোকে বলতো পাগল। তাদের পরিচয় হয়েছিল নরসিংদীতে। এরপর তাদের দেখা হয় টঙ্গিতে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে একজন আরেকজনকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যায়।-বাংলামেইল