দুই ভাইবোন হত্যা: মা রিমান্ডে যা বলেছেন!
রাজধানীর রামপুরায় বনশ্রীর বাসায় দুই ভাইবোন হত্যার ঘটনায় তাদের মা বেগম মাহফুজা মালেক ৫দিনের পুলিশ রিমান্ডে রামপুরায় থানায় রয়েছেন। পুলিশ তাকে রিমান্ডে নেয়ার পর পরিবারের কেউ তার সঙ্গে সাক্ষাত করেনি এমনকি খাবারও পাঠায়নি। ফলে পুলিশের দেয়া খাবার খেয়েই তাকে থানা হাজতে থাকতে হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে রামপুরা থানায় ফোন করা হলে এসআই সীমা আক্তার এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, নিহত দুই ভাইবোনের মা মাহফুজা মালেক থানার মহিলা হাজতে আছেন। অন্য কোন নারী আসামি না থাকায় তিনি একাই আছেন। তাকে পাহারা দিচ্ছেন পর্যায়ক্রমে দুজন নারী পুলিশ সদস্য। সকালে নাস্তায় তাকে রুটি, ভাজি ও ডিম দেয়া হয়েছে। দুপুরে ভাতের সঙ্গে মাছের তরকারি দেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে ভাত ও মুরগির মাংসের তরকারি দেওয়া হয়েছিল। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কি বলেছেন তা জানার জন্য ওসির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন এসআই সীমা।
রামপুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রিমান্ডের প্রথম দিন মাহফুজা র্যাবের কাছে যে বক্তব্য দিয়েছেন এখানেও প্রায় একই কথা বলেছেন। রিমান্ডে তিনি বলেছেন, দুই সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত থাকায় তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এটি আমলে না নিয়ে ঘটনার ভেতরে জানার জন্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ঘটনার দিন ওই বাসায় কে কে গেছে তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে। এছাড়া মহাখালীর ল্যাব থেকে পাওয়া ডিএনএ প্রতিবেদন তো থাকছেই।
তিনি আরো জানান, মাহফুজা যা বারবার বলছেন, তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সে রকমটা মিলছে না। সন্তানদের নিয়ে কোনো ধরণের দুশ্চিন্তা ছিল না মাহফুজার- এটা তার বোন বলেছে। মাহফুজার কথায় তার ভাই জাকির হোসেনও আশ্বস্ত হতে পারছেন না। কেউ পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বছর পনের আগে দুই পরিবারে সম্মতিতে মাহফুজা মালেকের সঙ্গে আমানুল্লার বিয়ে হয়। তারা চাচাত ভাইবোন। পারিবারিক সম্পত্তির দ্বন্দ্ব অনেকদিনের এই পরিবারে। কারো শ্বশুর বাড়ি কেউ সহজে যেতেন না। দুই শিশুর দাদী সেদিন রামপুরার বাসায় থাকলেও তিনি কী দেখেছেন তা এখনও কারো কাছে বলেননি।
২৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রামপুরা থানাধীন বনশ্রীর একটি বাসায় দুই শিশু অরণী ও আলভীর মৃত্যু হয়। তাদের মা ও পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, চাইনিজ রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে এ অবস্থা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তে ধরা পড়ে তাদেরকে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামে। র্যাবের সদস্যরা মাহফুজাকে জামালপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
এরপর র্যাব জানায়, মাহফুজা নিজে তার দুই সন্তানকে হত্যা করেছেন। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন