দুই ভাইয়ের মৃত্যু, বাবা-মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক
রাজধানীর উত্তরায় গ্যাসপাইপ বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তাদের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলো সারলিন বিন নেওয়াজ (১৫) ও জায়ান বিন নেওয়াজ (১৪ মাস)। এই ঘটনায় দগ্ধ তাদের মা-বাবার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সারলিন এবং সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে জায়ানের মৃত্যু হয়। সারলিন নেওয়াজ এবার উত্তরা রাজউক মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সারলিনের শরীরের ৭৮ শতাংশ এবং জায়ানের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে যায়। তাদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে নেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাসায় সপ্তম তলা ভবনে রান্না করতে যাওয়ার সময় গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ (৪৫), তার স্ত্রী সুমাইয়া খানম (৪০), তাদের সন্তান সারলিন (১৪), জারিফ (৯) ও জায়ান (১৪ মাস)। এদের মধ্যে জারিফের শরীরের ৬ শতাংশ পুড়ে যায়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শুক্রবার সকালেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া শাহনেওয়াজের শরীরের ৯৫ শতাংশ, সুমাইয়ার ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের দুইজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
সারলিন নেওয়াজের মামা সুমন বলেন, সারলিনের বাবা শাহনেওয়াজ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তিনি একজন মেন্টেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার। তিন মাস আগে তিনি বাংলাদেশে আসেন। ইচ্ছা ছিল মাসছয়েক দেশে থাকবেন। এরপর পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন নিজের কর্মস্থলে।
শুক্রবার সকালে নিজের বোন দুলাভাই ও তিন ভাগ্নের আগুনে পোড়ার খবর শুনে সুমন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যান এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তিনি জানান, সারলিন লেখাপড়ায় খুব ভালো ছিল। কিন্তু সর্বনাশা আগুন তাদের পরিবারের সবকিছু পুড়িয়ে দিল।
শাহনেওয়াজের প্রতিবেশী মনিরুজ্জামান জানান, শুক্রবার সকালে নাস্তা তৈরির জন্য রান্না ঘরে চুলা জ্বালাতে গেলে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে সকাল পৌনে নয়টার সময় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে তাদের স্বজনরা ছুটে এসেছেন। তারা কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ। এ সময়ে হাসপাতালের অন্যান্য রোগীদেরকেও চোখ মুছতে দেখা গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শঙ্কর পাল বলেন, শুক্রবার সকালে যারা ভর্তি হয়েছিল তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। ইতোমধ্যে দুই ভাই মারা গেছে। বাকি দুইজনের অবস্থাও খারাপ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র
বাড্ডা থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন
শনিবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এবি পার্টির বৈঠক
তৃতীয় দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারেরবিস্তারিত পড়ুন
বোয়ালমারীতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতা খন্দকার নাসিরের মতবিনিময়
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদবিস্তারিত পড়ুন