দুই মেয়রের ঢাকায় বাড়তি কর আদায়ের প্রস্তাব
রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরোপ করা আয়কর, ভ্যাট কিংবা শুল্কের ওপর উপকর হিসেবে বাড়তি ১০ শতাংশ হারে করারোপ করতে চায় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। একই সঙ্গে সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্য থেকে যে কোনো ধরনের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে রপ্তানি মূল্যের উপর ২ শতাংশ এবং আমদানিকালে আদায়কৃত আয়কর ও ভ্যাটের উপর বাড়তি কর আদায় করতে চায়। এই কর আদায় করতে হবে এনবিআরকে। অন্যদিকে আমদানি রপ্তানিযোগ্য পণ্য বাজেয়াপ্তও করা যাবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সমপ্রতি উপ-কর বিষয়ে এ ধরনের একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে।
ইস্যুটি নিয়ে বুধবার এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন। সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে আয়োজিত ও বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ছাড়াও বৈঠকে এনবিআর ও উভয় সিটি কর্পোরেশনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বর্ধিত এ করারোপে সিটি কর্পোরেশনের আইনি ক্ষমতার ব্যাখ্যা দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল বলেন, সিটি কর্পোরেশন আইনের ৮২ ধারায় উপ-কর আরোপের কথা বলা আছে। অন্যদিকে নগরীতে ভোগ, ব্যয় বা বিক্রয়ের জন্য আমদানি বা রপ্তানির উপরও করারোপের কথা বলা আছে। সেই হিসেবে ধার্যকৃত অর্থ সিটি কর্পোরেশন পেতে পারে।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা পুরনো শহর। সমস্যায় জর্জরিত। সিটি কর্পোরেশন হোল্ডিং করসহ অন্যান্য যে কর আদায় করে তা দিয়ে নগরীর পুরো উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হয় না। সিটি কর্পোরেশন আইনে উপ-কর ধার্যের বিষয়টি বলা আছে। এ রকম বিধিমালা জারি করা গেলে কর্পোরেশন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হবে। এ লক্ষ্যে আমরা রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে চাই। একই ধরনের কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকও। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব দিয়ে সব ধরনের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। হোল্ডিং ট্যাক্স সমতায় আনার চেষ্টা করব। চলতি অর্থবছর এনবিআর ও সিটি কর্পোরেশন – উভয়পক্ষ বসে নীতিমালা ঠিক করব। যাতে উপ-কর ধার্য্য করা যায়। ৫ বছরে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
তবে উভয় সিটি কর্পোরেশনের এ প্রক্রিয়ায় কর আদায়ের বিষয়টি যৌক্তিক নয় বলে মনে করেন সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। ইত্তেফাককে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন দুর্নীতির কারণে নিজেরা যথাযথ কর আদায়ে ব্যর্থ। এ জন্য অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে লাভবান হতে চায়। কর্পোরেশনের মধ্যে দুর্নীতি দূর করে, হোল্ডিং কর ব্যবস্থাকে সংস্কার করে তারা অনেক টাকা বাড়তি আয় করতে পারে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারও সম্পদ বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের কাছে (সিটি কর্পোরেশনসহ) সম্পদ হস্তান্তর করতে পারে।
এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, আমরা উভয় সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে সার্বিক বিষয় আরো বিশদভাবে বুঝার চেষ্টা করবো। বিশ্বব্যাপী এক্ষেত্রে কী ধরনের উদাহরণ রয়েছে- সেটিও জানার চেষ্টা করব। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, এনবিআর সিটি কর্পোরেশনের কাছে বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন থেকে বিষয়টির ব্যাখ্যা ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন