বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

দুই লাখ টাকা নিয়ে যেতে বলল ডিবি মা গিয়ে পেলেন ছেলের লাশ

ঝিনাইদহ জেলা শহরের ব্যাপারীপাড়ার শীর্ষ দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে সড়কের দুই পাশে ধান ক্ষেতের কিনারে লাশ দুটি দেখে এলাকাবাসী খবর দিলে পুলিশ তা উদ্ধার করে। এরা হলেন- ব্যাপারীপাড়ার আবদুল মজিদ ওরফে মজো ড্রাইভারের ছেলে মফিজুল ইসলাম (২৩) ও কোরবান আলীর ছেলে মানিক (২৫)।

তবে দুই পরিবার বলছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৌ-বাজার মোড় থেকে মানিককে এবং রাত ১২টার দিকে সুইট হোটেলের সামনে থেকে মফিজুলকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

মফিজুলের মা জাহানারা বেগম অভিযোগ করেন, ‘ফোনে ডিবির দারোগা মাহবুব টাকা নিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনার জন্য খবর দেন। সকাল ৬টার দিকে দুই লাখ টাকা নিয়ে ডিবি অফিসে যাই। তখন বিষয়টি অস্বীকার করেন দারোগা মাহবুব। সেই থেকে দারোগার ফোনও বন্ধ। পরে হাসপাতালে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করি।’

ফোন বন্ধ থাকায় এসআই মাহবুবের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের ওসি দাউদ হোসেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, লাশ পাওয়ার পর আমরা জানতে পারি যে তারা মফিজুল ও মানিক। দু’জনই মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে সব মানুষের কাছে পরিচিত।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘মানিক ও মফিজুল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েক দফা তাদের আটকও করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩টি করে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওসির মতে, মাদক ব্যবসা নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।’

পুলিশ জানায়, সকাল ৯টার দিকে সদর থানা পুলিশ দুই লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়। সেখানে ১০টার দিকে পরিবারের সদস্যরা লাশ শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ছোরা ও ৩ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট। লাশ উদ্ধারকালে ঘটনাস্থলে থাকা ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ যুগান্তরকে বলেন, দু’জনকেই মাথায় ও কানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

মফিজুল ট্রাকের হেলপার দাবি করে মা জাহানারা বলেন, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটির জন্য খাবার আনতে হোটেলে গেলে তাকে আটক করা হয়। ভোরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মফিজুলরা চার ভাই, এক বোন। ২০১৫ সালের ২৯ জুন এক ভাই (তরিকুল) দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন। জাহাঙ্গীর নামের আরেক ভাই ৪ মাস ধরে মাদক মামলায় কারাগারে।

জাহানারার ভাই কোরবান আলী। তার ছেলে মানিক। কিছুদিন আগেও মাদক মামলায় কারাগারে ছিলেন মানিক। অতি সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। মানিকের মা আমেনা খাতুন দাবি করেন, মানিক মতলুবুর রহমান হাইস্কুলে ৮ম শ্রেণীতে পড়ে। ভালো হওয়ার সুযোগ না দিয়েই তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ব্যাপারীপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে মাদকের জমজমাট ব্যবসা চলে আসছে। এখানে বাড়ন্ত বয়সের অসংখ্য মাদকসেবী ও বিক্রেতা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দফায় দফায় অভিযান চালালেও এ ব্যবসা বন্ধ হয়নি।
উৎসঃ jugantor

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ