দুদকে পদোন্নতির ধোঁয়াশা কাটছে : ফের ডিপিসি বৈঠক
দীর্ঘদিন ফাইলবন্দি থাকার পর অবশেষে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঁচ পরিচালকসহ অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার পদোন্নতির ধোঁয়াশা দূর হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ বিরতির পর কমিশনে আবারো ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটির (ডিপিসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুদকের সদ্য নিয়োগকৃত সচিব আবু মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ওই ডিপিসি বৈঠক মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ওই ডিপিসি সভায় আরো উপস্থিত থাকবেন সংস্থাপনের একজন যুগ্মসচিব, একজন পরিচালক, দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং দুদকের মহাপরিচালক (লিগ্যাল ও প্রসিকিউশন)।
এ বিষয়ে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, পূর্ব সিডিউল অনুসারে মঙ্গলবার ডিপিসি সভা অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে। আশা করছি এবার পদোন্নতি নিয়ে স্থবিরতা দূর হবে। তবে পদোন্নতির বিষয়ে এখনই কোন মন্তব্য করা যাবে না।
এর আগে চলতি বছরের ১০ মে কমিশন বৈঠকে পদোন্নতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও দুদকের প্রাক্তন সচিব মাকসুদুল হাসান খানের স্বাক্ষর না করায় জটিলতা তৈরি হয়। পরে প্রাক্তন সচিবের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে সিদ্ধান্তটি বাতিল করা হয়।
তৎকালীন সচিব জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির পক্ষে মত দিলেও কমিশনাররা জ্যেষ্ঠতার পাশাপাশি যোগ্যতা ও দক্ষতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পদোন্নতির পক্ষে মত দেন। উভয়পক্ষে দীর্ঘ আলোচনার পর পদোন্নতির কথা হলেও শেষ পর্যন্ত পদোন্নতির ফাইলে দুদকের চেয়ারম্যান, দুই কমিশনার ও সচিবের স্বাক্ষর থাকায় পদোন্নতির ফাইল আর পূর্ণতা পায়নি।
আর এ মতবিরোধের কারণে কমিশন শেষ পর্যন্ত ওই সচিবকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ১১ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। সচিব প্রত্যাহার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দুদক চেয়ারম্যানের পাঠানো চিঠিতে সচিবের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি, কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, কাজে উদাসীনতা, অনাগ্রহ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবাধ্যতা ও কমিশনের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়।
পদোন্নতির বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেছিলেন, কর্মকর্তাদের কাজের দক্ষতা বিবেচনা করেই পদোন্নতির তালিকা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যারা কাজে দক্ষতার প্রমাণ রাখছেন, তারা তদবির না করলেও পদোন্নতি পেতে পারেন। পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও দক্ষতাই মুখ্য বিষয়।
নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে দুদক আইন ও বিধামালা অনুসারে দেখা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ৩৪ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার বিধির ১৬(৪) ধারা অনুযায়ী কমিশন শূন্য পদে চার পদ্ধতিতে কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে পারবেন। পদ্ধতিগুলো হলো- (ক) সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে, (খ) পদোন্নতির মাধ্যমে, (গ) প্রেষণে বদলির মাধ্যমে এবং (ঘ) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগ।
তবে দুদকের নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাইরে প্রেষণে অন্যান্য বিভাগের লোক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে উপপরিচালক, পরিচালক ও মহাপরিচালক পদসহ বেশ কয়েকটি পদের বিষয়ে কমিশন বিধিমালা (৮)(৯) বলা হয়েছে, পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্য লোক পাওয়া না গেল প্রেষণে বদলির মাধ্যমে এবং তাও পাওয়া না গেলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে উপরোক্ত পদে নিয়োগ দিতে পারবেন।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিধিমালা ৪ ধারায় বলা হয়েছে, নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য কমিশন একটি নিয়োগ ও পদোন্নতি কমিটি গঠন করবে এবং এই কমিটির সুপারিশ ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি কোন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রদান করা যাইবে না।
দুদক সূত্র জানা যায়, বর্তমানে পাঁচটি বিভাগে পরিচালক পদ শূন্য হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ, বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-২, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা, অর্থ ও হিসাব বিভাগ। নতুন করে ওইসব বিভাগের শূন্য পরিচালক পদ পূরণ করা হবে। সে হিসেবেই পাঁচ পরিচালকসহ ৪৭ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন