দুপুরের মধ্যেই আঘাত হানতে পরে ‘রোয়ানু’
এক আতঙ্কের নাম ঘুর্ণিঝর ‘রোয়ানু’। যার প্রভাবে ইতোমধ্যেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সাথে ভোলায় এক কিশোরসহ দু’জন মারা গেছে। সেই ‘রোয়ানু’ এখন মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে দুপুরের মধ্যেই আঘাত হানতে পরে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ শনিবার ভোর ৫টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বুলেটিনে (নং-১৬) জানায়, সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
সবশেষ উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল ঘেঁষে ঘেঁষে এগুচ্ছে। চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাত ৩টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এর আগে মধ্যরাতে ঘণ্টায় ২০-২৫ কিলোমিটার গতিবেগে উপকূলের দিকে আসছিলো মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড়টি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড বাতাস শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কুয়াকাটাসহ উপকূলে ভারী বৃষ্টি ঝরছে। ভোলার তজুমদ্দিনে ঝড়ের কবলে পড়ে এক কিশোরসহ ২জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। রাজধানীতেও শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় আসবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন