জিয়া অরফানেজ এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ শুনানিতে অংশ নিতে আজ আদালতে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বেলা ১০টার দিকে তিনি আদালতের উদ্দেশে রওনা হবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল ১০টার পর খালেদা জিয়া আদালতের উদ্দেশে রওনা হবেন।

এর আগে গতকাল খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া গতকাল জানিয়েছিলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ আলিয়া মাদ্রাসার মাঠের অস্থায়ী ওই আদালতে যাবেন।

ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য রয়েছে। এছাড়া তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে গত ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার আংশিক আত্মপক্ষ শুনানি করেন। আত্মপক্ষ শুনানিতে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ দাবি করেন।

খালেদা জিয়ার আদালতে আসাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বর ও আশপাশ এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বকশিবাজারের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।

মামলাটিতে বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

অন্যদিকে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ মামলাটি করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।