দু-এক দিনের মধ্যে খাদিজার ‘ভালো সংবাদ’ আসছে

তার বাঁচার আশা অনেকটা ছেড়েই দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অসামান্য জীবনীশক্তি দেখিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থাটা কাটিয়ে উঠেছেন খাদিজা, যদিও তার এই সেরে ওঠার গতিটা নিতান্তই ধীর। কিছুটা নড়াচড়া করলেও তাকে ঠিক সুস্থতার পথে বলা যাবে না কোনোমতেই। তবে দু-এক দিনের মধ্যে ভালো খবর দেওয়ার আশা করছেন এই তরুণীর চিকিৎসকরা।
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তারকে খুন করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কোপানোর ভিডিও প্রকাশ হয়েছে ঘটনার পর দিনই। গত ৩ অক্টোবর এই ঘটনার পরপর তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর আনা হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। পরদিন মাথায় অপারেশন হয় খাদিজার।
এই হাসপাতালে আনার পর খাদিজার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বড়জোর পাঁচ শতাংশ বলেছিলেন চিকিৎসকরা। পরদিন মাথায় অপারেশনের পরও আশার কথা জানাতে পারেননি তারা। বলেন, ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে তাকে। সেই ৭২ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও কিছু জানাননি চিকিৎসকরা। আরও ২৪ ঘণ্টা পর খাদিজার ভাই কেবল জানান, তার বোনের ডান পায়ে নড়াচড়ার কথা।
খাদিজার স্কয়ারে আসার পর থেকেই গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়মিত দায়িত্বের একটি অংশ হয়ে গেছে এই তরুণীর বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া। তাই তার চিকিৎসার বিষয়ে কোনো অগ্রগতির খবর এলেই বারবার শিরোনাম হয়েছে গণমাধ্যমে।
অপারেশনের পর থেকে খাদিজাকে স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র- আইসিসিতে রেখে চলতে থাকে চিকিৎসা। এক পর্যায়ে খাদিজার শারীরিক অবস্থা আরও একটু ভালো হয়।
গত ১৭ অক্টোবর আরেক দফা অস্ত্রোপচার কক্ষে যান খাদিজা। এবার অপারেশর হয় তার হাতে। মাথায় চাপাতির কোপ ঠেকানোর চেষ্টার সময় তার হাতেও লাগে ধারালো অস্ত্রের কোপ।
২০ অক্টোবর খাদিজার অবস্থার আরও একটু উন্নতির খবর আসে গণমাধ্যমে। এদিন তার কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র খুলে নেয়া হয়।
এরও এক সপ্তাহ পর এই তরুণীর আরও একটু সুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ২৭ অক্টোবর তাকে নিবিঢ় পরিচর্যা কেন্দ্র থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
এখন খাদিজা স্কয়ার হাসপাতালে নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী কনসালটেন্ট রেজাউস সাত্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন।
কেমন আছেন খাদিজা? জানতে চাইলে স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী কনসালটেন্ট মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘তার অবস্থা আগের চেয়ে ভাল। তবে আরো দুইয়েক দিনের মধ্যে আরো ভাল কিছু সংবাদ দেওয়ার একটি সুযোগ রয়েছে।’
খাদিজার বাবা মাশুক মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তবে এখন পর্যন্ত সে তার বামপাশ নড়াচড়া করতে পারে না।’
খাদিজার বাবা বলেন, ‘সে এখন আমাদের চিনতে পারে। তবে সে কখনো বাবা আবার কখনো আঙ্কেল বলে ডাকে। এখন তাকে জাউ ভাত খাওয়াতে হয়। খাদিজা যখন ডাকে তখন বেশি শব্দ হয় না। আস্তে আস্তেই ডাকে’- বলেন মাশুক মিয়া।
ধীরে হলেও খাদিজার নড়াচড়া ও কথা বলা আশাবাদী করে তুলেছে তার বাবাকে। এক সময় আশা ছেড়ে দিলেও এখন তিনি বিশ্বাস করেন মেয়েটি তার সুস্থ হবে। তিনি আরও একটি বিষয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। বলেন, ‘আমার শান্ত নীরিহ স্বভাবের মেয়েটির জীবন যে নষ্ট করে দিয়েছে, তার শাস্তি চাই। আমার মত আর কোন বাবাকে যেন এমন কষ্ট পেতে না হয়।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন