দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয় যে অভ্যাসগুলো
মানব দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখ।দেহের যত্নের পাশাপাশি চোখের যত্নেরও একান্ত প্রয়োজন থাকলেও সে কথা আমরা অনেকেই সব সময় মনে রাখি না।
চোখ ছাড়া সারা দুনিয়াই অন্ধকার। কিন্তু কিছু অভ্যাসের কারণে অনেকে নিজের অজান্তেই ক্রমান্বয়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলছেন।
আসুন জেনে নিই সেই অভ্যাসগুলোকে যা দিনে দিনে আপনাকে অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে-
ধূমপানঃ
সিগারেটে প্রায় ৭,০০০ কেমিক্যাল খুঁজে পাওয়া যায় যার মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড অন্যতম। এই কেমিক্যালগুলো রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি করে যার মাধ্যমে পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালন হয়। এতে করে রক্তের মাধ্যমে পুষ্টি ও অক্সিজেনও পৌঁছায় না অঙ্গপ্রত্যঙ্গে। প্রয়োজনীয় রক্ত, অক্সিজেন এবং পুষ্টির অভাবে যেসকল অঙ্গ কর্মক্ষমতা হারায় তার মধ্যে আমাদের চোখ অন্যতম।
অনেকটা সময় পিসি ও মোবাইল ফোনের ব্যবহারঃ
পিসি ও মোবাইল ফোন যখন আমরা ব্যবহার করি তখন তা খুব কাছ থেকেই ব্যবহার করা হয়। দূর হতে এইসকল প্রযুক্তিগত জিনিস ব্যবহারের পথ এখনও আবিষ্কার হয় নি। আর এইসকল পোর্টেবল গ্যাজেটের ক্ষতিকর রশ্মি প্রতিনিয়ত আমাদের চোখ এবং চোখের পেশীর ক্ষতি করে চলেছে।
সানগ্লাস না পরাঃ
সানগ্লাস শুধুমাত্র ফ্যাশনের জন্য ব্যবহার করা হয়, বিষয়টি তা নয়। অতিরিক্ত রোদে সানগ্লাস না পড়ে বাইরে বের হলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি সরাসরি আমাদের চোখে পৌঁছায় যা চোখের স্থায়ীভাবে ক্ষতি করে। এছাড়াও ধুলোবালি চোখে গেলে আমরা স্বাভাবিকভাবেই চোখ চুলকাই যা আমাদের চোখের পেশীতে দাগ ফেলে দেয়। এইসব কিছু থেকেই সানগ্লাস আমাদের রক্ষা করে।
চলন্ত গাড়িতে পড়ার চেষ্টাঃ
অনেকেই চলন্ত গাড়িতে বই পড়েন অথবা মোবাইলেই কিছু দেখার চেষ্টা করেন। এটি খুবই ক্ষতিকর অভ্যাস আপনার চোখের জন্য। চলন্ত গাড়িতে যখন আপনি বই পড়তে যান বা মোবাইলে কিছু দেখতে থাকেন তখন আপনার চোখকে বারবার ফোকাস করতে হয় গাড়ির ঝাঁকুনি ও গতির কারণে। এতে করে চোখের অনেক ক্ষতি হয় যার কারণে প্রচুর- মাথাব্যথা ও দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয়ে আসে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন