দেওয়ানবাগী পীরের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ

দেওয়ানবাগী পীরের সুস্থতা কামনা করে আশুগঞ্জে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আশুগঞ্জ গোল চত্বরে অবস্থিত মসজিদে এ দোয়া ও মিলাদ করেন পীরের ভক্তরা।
খানকায়ে মাহবুবিয়া ও আশেকে রাসুল আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশেকে রাসুল আবদুল হালিম বলেন, দেওয়ানবাগী পীরের সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি কামনায় প্রতিটি মুহূর্তে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাঁর সুস্থতার জন্য উপজেলার সর্বস্তরের আশেকে রাসুলরা মহান আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করছেন এবং মিলাদ দিচ্ছেন।
দেওয়ানবাগী পীরের বাড়ি আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে। সেখানে প্রতিষ্ঠিত বাবে মোর্শেদের খাদেম আশেকে রাসুল এমদাদ হোসেন বলেন, হাসপাতালে ভর্তি দেওয়ানবাগী পীরের অবস্থা আজ একটু ভালো।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন দেওয়ানবাগী পীর। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডা. নাজমুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের নিবন্ধন খাতায় তাঁর নাম লেখা হয়েছে, সুফি সম্রাট মাহবুবে খোদা দেওয়ানবাগী।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরই মধ্যে দেওয়ানবাগী পীরের মস্তিষ্কের এমআরআই পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয়েছে তাঁর। তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল, সেটা দূর করার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি দেওয়ানবাগী পীরের শরীরে খিচুনি দেখা দেয়। তখন হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা তাঁকে দেখেন। তাঁকে এন্টি-ভাইরাস দেওয়া হয়। সেই সমস্যাটি কেটে গেছে। পরে তাঁর মস্তিষ্ক, বুক ও পেটের সিটিস্ক্যান করা হয়। বুকের সিটিস্ক্যান করার পর ফুসফুসের পর্দায় সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
বর্তমানে দেওয়ানবাগী পীরের রক্তচাপ এবং নারীস্পন্দন স্বভাবিক রয়েছে। এজন্য কোনো ধরনের ওষুধ দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। তাঁর রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন-ড্রাই-অক্সাইডের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। প্রস্রাব পরীক্ষা করা হয়েছে এটাও ভালো। পাশাপাশি তাঁর চোখের মণিও ভালো কাজ করছে।
দেওয়ানবাগ শরিফের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, দেওয়ানবাগী পীরের নাম মাহবুব-এ খোদা। তবে তিনি ‘দেওয়ানবাগী’ নামে পরিচিত। ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ আবদুর রশিদ সরদার। মা সৈয়দা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। নিজ এলাকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় ফাজিল পর্যন্ত পড়াশুনা করেন।
ফরিদপুরে চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতান আহমেদ চন্দ্রপুরীর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন দেওয়ানবাগী পীর। এরপর তাঁর মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন দেওয়ানবাগী। এর সুবাদে শ্বশুরের কাছ থেকে খিলাফত লাভ করেন। তার কিছু দিন পর নিজেই নারায়ণগঞ্জে দেওয়ানবাগ নামক স্থানে একটি আস্তানা গঠন করেন এবং নিজেকে সুফি সম্রাট পরিচয় দেন। সর্বশেষ মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ এই ঠিকানায় একটি দরবার স্থাপন করেন দেওয়ানবাগী।
রাজধানীর মতিঝিলের দেওয়ানবাগ দরবার শরিফের পীর দেওয়ানবাগী বেশ কিছু জটিল শারীরিক সমস্যা নিয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চবিতে ফের স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ-ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সহ-উপাচার্যসহ আহত ১০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ফের সংঘর্ষবিস্তারিত পড়ুন

রাকসু কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তালা-ভাঙচুর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১,৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১২৩টি সংগঠন মোট ১,৬০৪ বারবিস্তারিত পড়ুন