দেখে নিন বলিউডের বিয়ের কার্ডের চমক!
বলিউডের তারকা মানেই স্পেশাল। তা হোক না তাঁদের রুপালি পর্দার জীবন কিংবা ব্যক্তিগত জীবন। সব ব্যাপারেই খবরের শিরোনামে থাকতে ভালোবাসেন তাঁরা। শুধু অভিনয়ে একে অপরকে টেক্কা দেওয়াই নয়, বিয়ের আসরেও একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার এক নীরব প্রতিযোগিতা রয়েছে বলিউডি সেলেবদের মধ্যে। নিজেদের নিজস্ব ভাবনা-চিন্তা ব্যয় করে বলিউডি সেলেবরা তাঁদের বিয়ের সময় ঘটিয়েছেন নানা রকম কাণ্ড। যার মধ্যে বিয়ের আসরে বসার আগেই কে কতটা চমক দিতে পারেন তা নিয়ে বিয়ের কার্ড বিলিতেই দেখা যায় নানা বৈচিত্র্য। অবশ্য সেই বৈচিত্র্য আপনিও চাইলে অনায়াসেই পরখ করে আমন্ত্রিতদের চমক দিতে পারেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বলিউডি তারকাদের বিয়ের আগে নিমন্ত্রণ কার্ডের সেই সব চমক।
শহিদ কাপুর-মীরা রাজপুত
বলিউডের হার্টথ্রব এই জুটির বিয়েতে নিমন্ত্রণপত্রের ডিজাইন করেছিলেন নাকি দিল্লির এক নামকরা ডিজাইনার! মূলত শহিদের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নিমন্ত্রণপত্রের ডিজাইন তৈরি করা হয়। মীরার কথা ভেবেই ‘সিম্পল ইয়েট এলিগেন্ট’ নিমন্ত্রণপত্র চেয়েছিলেন শহিদ। সেই মতোই তৈরি করা হয় নিমন্ত্রণপত্র, যা অতিথিদের বাড়িতে পাঠানো হয় একটি সুদৃশ্য বাক্সের মধ্যে ভরে। আর নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে বাক্সবন্দি অবস্থায় পাঠানো হয় স্পেশাল চা আর মধু।
সোহা আলী খান-কুনাল খেমু
চলতি বছরের গোড়ার দিকে গাঁটছড়া বাঁধেন বলিউডের এই দুই সেলিব্রিটি। এই দম্পতির বিয়েতে মহা ধুমধাম না হলেও বিয়ের নিমন্ত্রণ কার্ডে কিন্তু ছিল বেশ নতুনত্ব। সোহা-কুনালের বিয়ের কার্ডের গায়ে গোলাপি আর সোনালি গোলাপ এঁকে দেওয়া হয়। আর সেই কার্ডের ওপর বেঁধে দেওয়া হয় সোনালি ফিতা। আর সেই কার্ডের মধ্যে পাত্র-পাত্রীর নাম লেখা ছিল হার্ট শেপেড মোটিফে। এ ছাড়া বিয়ের খুঁটিনাটি তথ্যও লেখা ছিল কার্ডের গায়ে।
ইমরান খান-অবন্তিকা মল্লিক
শুধু নিমন্ত্রণপত্র পাঠানোই নয়, নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে বাক্সবন্দি চকলেট পাঠিয়ে চমক দিয়েছিলেন তাঁরা। ইমরান-অবন্তিকার বিয়েতে নিমন্ত্রণ কার্ডের সঙ্গে দু-দুটো বাক্স পাঠানো হয়েছিল। যার একটিতে চকলেট তো বটেই। আর অন্যটিতে রাখা ছিল একটা ইয়ার প্ল্যানার ডায়েরি, সুগন্ধি ও রঙিন কাগজের ঘূর্ণি। আর সেই রঙিন কাগজের ঘূর্ণির গায়ে হলুদ কাগজ দিয়ে লাগানো ছিল বিয়ের যাবতীয় তথ্য। ২০১১ সালে বিয়ে হয় এই জুটির।
বিবেক ওবেরয়-প্রিয়াঙ্কা আলভা
অত্যন্ত দামি রত্নের গুঁড়ো ও সোনা দিয়ে তৈরি করা হয় এই জুটির বিয়ের কার্ড। ‘ইকো ফ্রেন্ডলি’ কার্ডের একদিকে ছিল দামি চকলেট আর অন্যদিকে ছিল বিবাহ অনুষ্ঠানের সূচিপত্র। এ ছাড়া বিশেষ অতিথিদের কার্ডে ছিল নাকি বিশেষ চমক! বিশেষ অতিথিদের কার্ডে ছিল ‘গনজিফা পেইন্টিং’। আস্ত একটা গয়নার বাক্সের মতো দেখতে এই কার্ডের পুরোটাই ‘রি সাইকলড’ মেটেরিয়াল থেকে বানানো হয়েছিল। বিবেক-প্রিয়াঙ্কার বিয়েতে প্রায় দুই হাজার অতিথিকে নিমন্ত্রণ করা হয়।
শিল্পা শেঠি-রাজ কুন্দ্রা
রীতিমতো ধর্মীয় আচার মেনে তৈরি করা হয় এই দম্পতির বিয়ের কার্ড। নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে পাঠানো হয় স্বয়ং গণেশ ঠাকুরকে। তা ছাড়া বিয়ের কার্ডের গায়ে লেখা ছিল মাঙ্গলিক সংস্কৃত শ্লোকও। নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে পাঠানো হয় অত্যন্ত দামি একেবার হাতে তৈরি স্পেশাল চকলেট। ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় এই জুটির।
ঐশ্বরিয়া রাই-অভিষেক বচ্চন
বলিউডের হাই প্রোফাইল এই জুটির বিয়েতে পরপর তিনটি আলাদা আলাদা বাক্সে করে পাঠানো হয় নিমন্ত্রণপত্র। বাক্স তিনটির ওপরে ঐশ্বর্যর আদ্যাক্ষর ‘এ’ এবং অভিষেকের আদ্যাক্ষর ‘এ’ লেখা ছিল। লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা প্রতিটি বাক্সের প্রথমটিতে রাখা ছিল নিমন্ত্রণপত্র, দ্বিতীয়টিতে সুদূর সুইজারল্যান্ড থেকে আনা স্পেশাল ২৪ পিস করে চকলেট আর তৃতীয়টিতে রাখা ছিল একটি সুদৃশ্য গণেশ ঠাকুরের মূর্তি। নিমন্ত্রণপত্রে বিয়ের খুঁটিনাটি তথ্যের সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনের বাবা প্রয়াত হরবিংশ রাই বচ্চনের কবিতা লেখা ছিল। তা ছাড়া প্রতিটা কার্ডে ঐশ্বর্যর মা-বাবা এবং অভিষেকের মা-বাবা হিসেবে অমিতাভ-জয়া বচ্চনের সই করা ছিল। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে এই জুটির বিয়ে হয়।
এশা দেওল-ভরত তখতানি
২০১২ সালের জুন মাসে বিয়ে হয় এই জুটির। বিয়ের কার্ড নিয়ে চমকের দৌড়ে অবশ্য কম যাননি এই জুটিও। দামি কাঠের বাক্সে ভরে পাঠানো হয় নিমন্ত্রণপত্র। বিয়ের কার্ডের পাশাপাশি বাক্সে ভরে পাঠানো হয় মোতিচূড়ের স্পেশাল লাড্ডু ও শুকনো ফল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন