দেখে নিন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ১০টি গয়না!
সেই আদি যুগ থেকে গয়না বা জুয়েলারি নারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে আছে। সুযোগ পেলেই নিজের পছন্দসই গয়নাটি কিনতে বিন্দুমাত্র দেরি করেন না নারীরা। আর বাজারেও নারীদের মনমতো নিত্যনতুন ডিজাইনের গয়নার পসরা সাজানো হয়। কিন্তু ভিন্ন ধাঁচের আর দামি গয়নাগুলো সত্যিই অসাধারণ হয়ে থাকে। চোখ ধাঁধানো রং, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং সুদৃশ্য ডায়মন্ডের এসব গয়নার দাম শুনলে রীতিমতো অবাক হবেন!
লিস্ট টপ টেনস ওয়েবসাইটে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ১০টি গয়নার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চলুন, একনজরে জেনে নিই কোন গয়নার দাম কেমন।
১. পিংক স্টার ডায়মন্ড : ৮৩.২ মিলিয়ন ডলার
গোলাপি রঙের ডায়মন্ড দিয়ে তৈরি আংটিটি ২০১৩ সালের নভেম্বরে নিলামে বিক্রি করা হয়। যার দাম ৮৩.২ মিলিয়ন ডলার। বিশ্বের সবচেয়ে দামি গয়নার মধ্যে পিংক স্টার ডায়মন্ড শীর্ষস্থানে রয়েছে। এই আংটিটি তৈরি করতে দুই বছর সময় লেগেছ। ৫৯.৬০ ক্যারেটের এই গোলাপিড রঙের ডায়মন্ডটির বর্তমান মালিক আইজাক উলফ।
২. এল ইনকম্পেয়ারেবল ডায়মন্ড নেকলেস : ৫৫ মিলিয়ন ডলার
বিশ্বের সবচেয়ে দামি নেকলেস হিসেবে পরিচিত এল ইনকম্পেয়ারেবল ডায়মন্ড নেকলেস। ৬৩৭ ক্যারেট ডায়মন্ডের এই নেকলেসের দাম ৫৫ মিলিয়ন ডলার যার নিচের দিকে লকেটের মতো ৪০৭.৪৮ ক্যারেটের হলুদ রঙের বিরল ডায়মন্ড রয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের রোজ গোল্ডের ওপর ২২৯.৫২ ক্যারেটের মোট ৯১টি ভিন্ন ভিন্ন সাইজের ডায়মন্ড দিয়ে সাজানো হয়েছে নেকলেসটি। দামি এই নেকলেস পুরোপুরি তৈরি করতে প্রায় চার বছর সময় লেগেছে।
৩. দ্য গ্রাফ পিংক : ৪৬.২ মিলিয়ন ডলার
প্লাটিনাম আংটির ওপর দুটি শেইপের ডায়মন্ড দিয়ে তৈরি দ্য গ্রাফ পিংক। ২৪.৭৮ ক্যাকেটের এই গোলাপি রঙের ডায়মন্ডের আংটির দাম ৪৬.২ মিলিয়ন ডলার। ২০১০ সালের নভেম্বরের ১৬ তারিখ নিলামে আংটিটি বিক্রি হয়। বিখ্যাত জুয়েলার এবং ডায়মন্ড সংরক্ষণকারী লরেন্স গ্রাফ বর্তমানে এই আংটির মালিক।
৪. উইটেলব্যাচ গ্রাফ ডায়মন্ড : ২৪.৩ মিলিয়ন ডলার
৩১.০৬ ক্যারেটের নীল রঙের ডায়মন্ড দিয়ে তৈরি উইটেলব্যাচ গ্রাফ ডায়মন্ড। শুরুর দিকে এর নাম ছিল উইটেলব্যাচ ডায়মন্ড। ১৬৬৪ সালে স্পেনের রাজা ফিলিপ আইভি তাঁর মেয়ের বিয়েতে যৌতুক হিসেবে আংটিটি দেন। ঘটনাচক্রে ২০০৮ সালে লরেন্স গ্রাফ ২৪.৩ মিলিয়ন ডলার দিয়ে আংটিটি নিলামে কিনে নেন। এরপর তিনি তিন ডায়মন্ড কাটার দিয়ে আংটিটি কেটে নতুন আকার দিয়ে এর নাম রাখেন উইটেলব্যাচ গ্রাফ ডায়মন্ড।
৫. দ্য পারফেক্ট পিংক : ২৩.২ মিলিয়ন ডলার
ডায়মন্ড এমনিতেই অনেক দামি হয় কিন্তু এটি আরো দামি হয় যদি এর রং অন্যগুলোর চেয়ে একটু ভিন্ন হয়। পারফেক্ট পিংক রঙের ডায়মন্ডটি বিশ্বে খুবই বিরল এবং সে জন্য এর দামটাও বেশি। ১৪.২৩ ক্যারেটের এই আংটির বর্তমান দাম ২৩.২ মিলিয়ন ডলার। ১৮ ক্যারেটের রোজ ও হোয়াইট গোল্ড দিয়ে তৈরি আংটিতে আসল গোলাপি রঙের ডায়মন্ড থাকার কারণে এর নাম রাখা হয়েছে দ্য পারফেক্ট পিংক।
৬. হার্ট অব দ্য ওসেন ডায়মন্ড : ২০ মিলিয়ন ডলার
১৫ ক্যারেটের বিরল নীল রঙের ডায়মন্ড দিয়ে তৈরি হার্ট অব দ্য ওসেন ডায়মন্ড। এর বর্তমান মূল্য ২০ মিলিয়ন ডলার। এর আরো একটি বিশেষত্ব রয়েছে। সুপারহিট সিনেমা টাইটানিকে ঠিক এই রকমই একটি নেকলেস ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এই নেকলেসটি বেশ জনপ্রিয় সবার কাছে। প্রায় সব পুরুষই এই নেকলেসটি তাঁর প্রিয়জনকে উপহার দিয়ে প্রমাণ করতে চান তাঁরা তাঁদের সঙ্গীকে অনেক বেশি ভালোবাসেন।
৭. চপার্ড ব্লু ডায়মন্ড রিং : ১৬.২৬ মিলিয়ন ডলার
নীল রঙের ডায়মন্ড খুবই বিরল, যা দিয়ে চপার্ড ব্লু ডায়মন্ড রিং তৈরি করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের হোয়াইট গোল্ডের তৈরি আংটির পাশ দিয়ে সাদা রঙের ডায়মন্ড লাগানো রয়েছে। এর ওপরে বসানো ৯ ক্যারেটের নীল রঙের ডায়মন্ডটির কারণে এটি নারীদের কাছে বেশ পছন্দের। আর এর জন্য ১৬.২৬ মিলিয়ন ডলার খরচ করতেও তাদের কোনো আপত্তি নেই।
৮. বুলগারি ব্লু ডায়মন্ড রিং : ১৫.৭ মিলিয়ন ডলার
ভিন্ন রঙের দুটি ডায়মন্ড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বুলগারি ব্লু ডায়মন্ড রিংটি। যার একটি ১০.৯৫ ক্যারেটের নীল রঙের ডায়মন্ড আর অন্যটি ৯.৮৫ ক্যারেটের বর্ণহীন ডায়মন্ড। আর এ কারণেই এটি অন্য সব আংটির থেকে দেখতে আলাদা। এর বর্তমান মূল্য ১৫.৭ মিলিয়ন ডলার।
৯. হার্ট অব দ্য কিংডম রুবি : ১৪ মিলিয়ন ডলার
বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো এবং বিখ্যাত জুয়েলারি কোম্পানি গারার্ডের তৈরি হার্ট অব দ্য কিংডম রুবি নেকলেসটির বর্তমান দাম ১৪ মিলিয়ন ডলার। ১৫৫ ক্যারোটের ডায়মন্ডের নেকলেসের ওপর প্রায় ৪১ ক্যারেটের একটি রুবি পাথর বসানো আছে। ১৫০টি সাদা ডায়মন্ডের ওপর লাগানো এই লাল রঙের রুবি পাথরের কারণে নেকলেসটি দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগে।
১০. ওয়ালিস সিম্পসন প্যানথার ব্রেসলেট : ১২.৪ মিলিয়ন ডলার
ডায়মন্ডের তৈরি ভিন্ন ধাঁচের এই ব্রেসলেটের দাম ১২.৪ মিলিয়ন ডলার। ১৯৫২ সালে কারটিয়ের প্যারিস এই ব্রেসলেটের ডিজাইন করেন। এরপর আমেরিকান নাগরিক ওয়ালিস সিম্পসন এটি কিনে নেন। পরবর্তীকালে এর নাম দেওয়া হয় ওয়ালিস সিম্পসন প্যানথার ব্রেসলেট।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন