দেশজুড়ে রেড অ্যালার্ট
রেড অ্যালার্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শারদীয় দুর্গা পূজা, আশুরা ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে এই রেড অ্যালার্ট চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। তারা বলছে, নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ প্রধান, র্যাব প্রধানসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিশেষ নোট পাঠানো হয়েছে দেশের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারদের।
দেশের প্রতিটি পূজা মণ্ডপ, আশুরার তাজিয়া মিছিল ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের আবাসস্থল ও তাদের যাওয়া-আসার পথে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। এ ছাড়া কূটনৈতিক এলাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য দিয়ে বলেছে, জঙ্গি হামলার কোনো তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে না থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি থাকছে না। পূজা, আশুরা এবং ইংল্যান্ড দলের ঢাকা সফর-এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক সময়ে হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না সরকার। যে কারণে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আসন্ন পূজা, আশুরা ও ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, ডিবি পুলিশ, আনসার সদস্য, র্যাব ও ডগ স্কোয়াডের সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
গত সোমবার পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিষয়ে এক সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, পূজার আগে, পূজা চলাকালে এবং পরের কয়েকদিনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের জাতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের সময়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।–বিডি প্রতিদিন।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গতকাল বলেছেন, অতীতের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে এবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হোসনি দালান ইমামবাড়া থেকে বের হওয়া তাজিয়া মিছিলে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গতকাল বেলা পৌনে ১২টার দিকে হোসনি দালানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
কমিশনার বলেন, আমরা অতীতের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। চারশ বছর ধরে চলে আসা এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানে গতবছর যে হামলা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকবে। তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মিছিলে আগত সবাইকে আর্চওয়ে গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করা হবে।
এ সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা চান কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি আরও জানান, আগেই তাজিয়া মিছিলে আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবার ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার নিশানও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়েছে প্রস্তুত। দেশের প্রতিটি পূজা মণ্ডপ, আশুরার তাজিয়া মিছিল ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের আবাসস্থল ও তাদের যাওয়া-আসার পথে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা।
এ ছাড়া কূটনৈতিক এলাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, জঙ্গি হামলার কোনো তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে না থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি থাকছে না। পূজা, আশুরা এবং ইংল্যান্ড দলের ঢাকা সফর-এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক সময়ে হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো রিস্ক নিতে চাচ্ছে না সরকার।যে কারণে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
পুলিশ ও র্যাব জানায়, রাজধানীসহ দেশজুড়েই নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া থাকছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াত, মোটরসাইকেলে টহল, ফুট প্যাট্রল ও তল্লাশি চৌকি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন