দেশবাসীর আনন্দ উদযাপন ভালো লাগছে
বাংলা নববর্ষ উদযাপনে দেশবাসীর আনন্দ উদযাপনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকাল থেকে অনুষ্ঠানগুলো দেখছি। দেশবাসী আনন্দ করছে, দেখে ভালো লাগছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে এলে তাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ।
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বছরটা সুন্দরভাবে শুরু হয়েছে, এটা যেন অব্যাহত থাকে।
তিনি বলেন, সবসময়ই দুঃশ্চিন্তায় থাকি, কখন কী ঘটে যায়। আশা করি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পারবো।
দলের উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমি নির্দিষ্ট কোনও অনুষ্ঠান রাখিনি। আপনারা যারা এসেছেন তাদের মাধ্যম দেশবাসী সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুসলবান তার পাশাপাশি বাঙালি জাতি। বাঙালি হিসেবেই আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সে কথা ভুললেও চলবে না। আর পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির উৎসব এই উৎসব উদযাপন দেশের সব ধর্ম-বর্নের মানুষের।
প্রতিটি দেশ বা জাতি তার নিজস্ব জাতিসত্বা ও ভৌগলিক সীমারেখার দিয়ে পরিচিত হবে, তাতে তার ধর্মীয় পরিচয়ের কোনও বাধা থাকে না। আরবীয়, কুয়েতি, ফিলিস্তিনিরাও যেমন মুসলমান আমরা বাঙালির একটা বড় অংশ মুসলমান, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ইসলাম ধর্মের নির্দেশনা রয়েছে যার যার ধর্ম সে পালন করবে, এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই ধর্মে অন্য কোনও ধর্মের ওপর আঘাত দেওয়ার কথা বলা হয়নি। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উক্তি ‘ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা’ উক্তিটিও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
কাজেই বোমা মেরে মানুষকে হত্যা করা, মানুষকে হুমকি দেওয়া, এটা ধর্মের অবমাননা, বদনাম। আমার প্রশ্ন এরাই নিজেরাই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে কি না? বলেন প্রধানমন্ত্রী।
যুগ যুগ ধরে চলে আসা বাঙালির সংস্কৃতি রীতি-নীতি পালন করে যাওয়ার পাশাপাশি দেশবাসী যার যার ধর্মীয় অনুশাষণ অনুযায়ী ধর্ম পালন করবে। সহনশীল পরিবেশের মধ্যে সবাই বসবাস করবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা।
সবচেয়ে বড় কথা শান্তি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছাড়া উন্নতি কখনোই হয়না, এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, গত একটি বছর দেশে শান্তি ছিলো বলেই প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আর এই পহেলা বৈশাখে সারা দেশে গ্রাম-গঞ্জ-শহর নগরে উৎসবের আমেজ নিশ্চিত করা গেছে।
মানুষের আনন্দ-উৎসব করার জন্য সুযোগ প্রয়োজন, আমরা সে সুযোগ করে দিতে পেরেছি, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
‘এখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুব জরুরি, সে জন্য যা কিছু করণীয় তা সরকার করছে।’
একটি গোষ্ঠী নিরাপত্তার জন্য নেওয়া কিছু উদ্যোগের প্রতিবাদ করছে, তাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি বিকেল ৫টার মধ্যে প্রকাশ্য-বহিরাঙ্গনের অনুষ্ঠানগুলো শেষ করতে হবে। এতেই কারো কারে আপত্তি। কিন্ত কেন?
তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে, কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তা সম্ভব। আর এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের যে কোনও উন্নত দেশও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়।
প্যারিস, বেলজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণও তুলে আনেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেটা কোন পথে কিভাবে দিতে পারবো, তার নির্দেশনা সরকারই দেবে। আর আশা করি সকলেই এই নির্দেশনা মেনে চলবে।
সমালোচকদের পাল্টা সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘কোনও অঘটন ঘটে গেলে সে দায়িত্ব কে নেবে? যিনি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তিনি কি সে দায়িত্ব নেবেন?’ প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনা।
নির্দেশনাগুলো মেনে দেশবাসী সুন্দর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে, প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, আমি দেখছি দেশবাসী সেটাই করে যাচ্ছে। আমাদের সবাই সবকিছু মেনে চলে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন