দেশের সাফল্য বিদেশেও বয়ে নিতে চাইঃ সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি
দুই বছরেরও বেশি সময় পর বিদেশের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সামনে দেশের বাইরে আরও অনেক সিরিজ-টুর্নামেন্ট। কঠিন এই অভিযানে বাংলাদেশের সঙ্গী দেশের মাটিতে সাফল্যের আত্মবিশ্বাস। সেই সাফল্যের ডানায় ভর করে বিদেশের মাটিতেও সাফল্য পাওয়ার আশা করছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
২০১৫ বিশ্বকাপ তখন শেষ। দেশের মাটিতে একের পর এক বড় সিরিজ। বিশ্বকাপ সাফল্যের রেশ নিয়েই নতুন একটা লক্ষ্য ঠিক করেছিল তখন বাংলাদেশর টিম ম্যানেজমেন্ট। জিততে হবে অন্তত ৮০ ভাগ ম্যাচ। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে অনেকটা। এবার চ্যালেঞ্জ বিদেশের মাটিতে টানা খেলার।
এই মাসেই শুরু নিউ জিল্যান্ড সিরিজ। এরপর ভারতে একটি টেস্টের সফর। মার্চে শ্রীলঙ্কায় পূর্নাঙ্গ সফর। মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ, জুনে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর।
শুরুটা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তুতি দিয়ে। বৃহস্পতিবার রাতেই ঢাকা ছেড়েছে একটি দল। আরেকটি দল যাবে শনিবার রাতে। সেই দলে থাকবেন মাশরাফিও।
সফরের আগে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের। জানালেন, দেশের মাটির সাফল্য আর বিদেশের চ্যালেঞ্জের কথা।
“গত দেড়-দুই বছর আগে আমরা টার্গেট করেছিলাম, দেশের মাটিতে অন্তত ৮০ ভাগ ম্যাচ জিতব। আল্লাহর রহমতে সে জায়গায় সফলতা পেয়েছি। এখন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ, দেশের বাইরে গিয়ে খেলা। আপনারাও জানেন এটা চ্যালেঞ্জিং। অনেক প্রতিষ্ঠিত দলের জন্যও চ্যালেঞ্জিং। আমাদের জন্য আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং।”
“তবে আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেভাবে খেলেছি, সেই মোমেন্টামটা যদি ওখানে নিতে পারি, ভালো খেলার স্মৃতিগুলো যদি ওখানে নিতে পারি, দেশের মাটিতে যেভাবে খেলেছি ওই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যদি খেলতে পারি, তাহলে মনে হয় ভালো ফল আসবে। ভিন্ন কন্ডিশন হলেও আশা করছি ভালো হবে।”
দেশের মাটিতে যে রকম ৮০ ভাগ ম্যাচ জেতার একটা লক্ষ্য ছিল, বিদেশের মাটিতে সেরকম সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এখনও ঠিক করেনি দল। তবে মাশরাফির চাওয়া, বেশিরভাগ ম্যাচ জেতা।
“দেশের মাটিতে এ রকম লক্ষ্য ঠিক করার মূল কারণ ছিল, উঠতি দলগুলি আগে দেশের মাটিতে অনেক ম্যাচ জেতে। তার পর দেশের বাইরে জিততে শুরু করে। গ্রাফটা আস্তে আস্তে ওপরে নেয়। এজন্যই আমাদের মনোযোগ ছিল, আগে দেশের মাটিতে দুই বছরে যত বেশি সম্ভব জিতে নেই।”
“বিদেশে মাটিতে কাজটা অনেক কঠিন। যেটা বললাম, প্রতিষ্ঠিত দলগুলির জন্যও কঠিন। দেশের বাইরে সব কিছুই আলাদা। তারপরও আমরা চাইব যত বেশি সম্ভব জিততে। তবে বলা যত কঠিন, করা আরও বেশি কঠিন। দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। যেটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমরা এখন যেখানেই খেলি, জয়ের জন্যই নামব। সেই মানসিকতা অবশ্যই থাকবে।”
সিডনিতে কন্ডিশনিং ক্যাম্প থেশে ১৮ ডিসেম্বর নিউ জিল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ দল। ২২ ডিসেম্বর একটি প্রস্তুতি ম্যাচ, ২৬ ডিসেম্বর ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন