দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ সবচেয়ে বড় সংকটের মুখে এসে পড়েছে। একদিকে গণতন্ত্র নেই, অন্যদিকে দেশের সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেই খালেদা জিয়াকে, যে ব্যক্তিটি সারাটি জীবন দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন খুবই জরুরি। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে এ আন্দোলন ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব বলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার আন্দোলন ও সংগ্রাম যে মূল বিষয় নিয়ে হয়েছিলো তা ৭৫ সালে আওয়ামী লীগের হাতেই তা পদদলিত হয়েছিলো। তারপরও সে গণতন্ত্র কিন্তু অব্যাহতভাবে দেখার সৌভাগ্য জনগণের হয়নি। জাতির দুর্ভাগ্য সবসময় আমরা গণতন্ত্রের ধারায় থাকতে পারিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কেয়ারটেকার ব্যবস্থা মেনে নিয়ে খালেদা জিয়া যখন গণতান্ত্রিক কালচার গড়ে ওঠার সুযোগ করে দিলেন তখন এই আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর কারণেই গণতন্ত্র আবারও বাধাগ্রস্ত হলো। শুধুমাত্র ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে গিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে আমরা যে কাজটি সক্ষম হয়েছি তা হলো দেশের দেশের সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়েছি। এক মঞ্চে না উঠলেও যুগপৎ এ দেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে, মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টিও আমাদের সাথে শুধু শরিক ছিলেন না, অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেন, আমি বিশ্বাস করি জনগণের আন্দোলন কখবও বৃথা যায় না, এ আন্দোলনও বৃথা যাবে না। জনগণের পক্ষে যে আন্দোলন, ন্যায় প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন, সমাজকে রক্ষা করার যে আন্দোলন তা ব্যর্থ হতে পারে না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সমমনা জোটের সমন্বয়ক এডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ঈমন প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন