‘দেশে আসতে খালেদা-তারেককে বাধা দেবে না সরকার’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানকে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হবে না, বরং স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানে প্রতি ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক যারা, তাদের দেশে আসাতে সরকার বাধা দেবে না, বরং স্বাগত জানাবে। কারণ বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে আসাই বাঞ্ছনীয়।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের জবাব দিতে সোমবার বেলা ১১টার দিকে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন তথ্যমন্ত্রী।
আগুন-সন্ত্রাসের জন্য বিএনপিকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, জানতে চাইলে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘নিবন্ধিত দল হিসেবে বিএনপির বিরুদ্ধে আইনিভাবে পদক্ষেপ নিতে হলে আনুষাঙ্গিক বিষয় দেখতে হবে। আমরা আইনগত বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি। মনোযোগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘কাগজে-কলমে আইনত বিএনপি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। কিন্তু বেগম জিয়া জামায়াত-জঙ্গিগোষ্ঠিকে সঙ্গে নিয়ে অন্তর্ঘাত, নাশকতামূলক কর্মকা- করে বিএনপিকে সন্ত্রাসী দলে পরিণত করেছেন। স্বাভাবিক রাজনৈতিক পথ পরিত্যাগ করে অস্বাভাবিক রাজনীতি করছেন। এটা দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’
গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কোনো আগুন-সন্ত্রাসী থাকবে না এবং আগুন-সন্ত্রাসের নেত্রী বেগম জিয়া ৬৮ জন মানুষ মারার দায় থেকে রেহাই পাবেন না বলে মন্তব্য করেন হাসানুল হক ইনু।
ইনু বলেন, ‘স্বামীর মতোই খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী এবং জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক সন্ধি স্থাপনের অভ্যাস ছাড়তে পারেননি। এ কারণে আজও তিনি তাদের সঙ্গে সন্ধি করছেন। ওই সন্ধির কারণে বাংলাদেশে পরিকল্পিত হত্যা, খুন, নাশকতা এবং সর্বশেষ আগুন-সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটিয়ে এই মুহূর্তে একজন সন্ত্রাসী নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া রাজনৈতিক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের গত ৭ নভেম্বরের ‘সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠনের ঐক্যের আহ্বান’ জানানো বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অপরাধী, খুনিদের ফর্মুলা গ্রহণ করতে পারি না। মওদুদের ঐক্যের প্রস্তাব বিড়ালতপস্বীর মতো। এজন্য খুনিদের সঙ্গে ঐক্যের প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখান করছি।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘মওদুদের আহ্বান মূলত অপকর্ম আড়াল করে রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টার নীল নকশা। খালেদা জিয়া তার দলের আরেক নেতাকে দিয়ে এই ঐক্যের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অবস্থান নিয়েছে, তা অটুট থাকবে। প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। যারা নাশকতা করে, তাদের আইনের আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এখন অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।’
হাসানুল হক ইনু অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপি-জামায়াত স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথ ছেড়ে সরাসরি সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-অন্তর্ঘাত ও নৈরাজ্যের পথ গ্রহণ করে। এর সর্বশেষ রূপ ছিল আগুন-সন্ত্রাস ও আগুন-যুদ্ধ। বিএনপি-জামায়াত আজ নিজেরাই সন্ত্রাসবাদী-নৈরাজ্যবাদী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা তছির আহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন