দেশে কান কাটা ও নাক কাটাদের শাসন চলছে
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেছেন, ‘আদালত অবমাননার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খাদ্যমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কান কাটা গেছে। আর কান কাটা মন্ত্রীরা মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীরও নাক কাটা গেছে। ফলে দেশে এখন কান কাটা ও কান কাটাদের শাসন চলছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান এসব কথা বলেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং ‘বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের’ দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান বলেন, ‘মহান আদালত অনেকদিন পরে দুই মন্ত্রীকে (খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক) আদালতে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। আদালত অবমাননার দায়ে তাদের দণ্ডিত করেছেন। এজন্য আদালতের প্রতি আমার শ্রদ্ধাবনত অভিবাদন জানাচ্ছি। আমরা এ আদালত দেখতে চাই। আমরা আওয়ামী-বিএনপি-জাগপা’র আদালত দেখতে চাই না। আদালত আদালতের মতো থাকবে। অপরাধ যেই করুক তাকে যেন নিরপেক্ষভাবে আইনের মাধ্যমে বিচার করা হয়।’
আদালত অবমাননার দায়ে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা হওয়ায় খাদ্যমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কান কাটা গেছে- এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই কান কাটা দুই মন্ত্রী সোমবার শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় গেছেন। আমি জানি না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাক কাটা আছে কিনা। নাক কাটা ছাড়া কোনো প্রধানমন্ত্রী আদালতের এই রায়ের পরে কান কাটা মন্ত্রিদের নিয়ে মন্ত্রিসভায় বসতে পারেন না। অবিলম্বে এই দুই মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে প্রধান আরো বলেন, ‘কান কাটা মন্ত্রী নিয়ে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। এটি রাষ্ট্রের মর্যাদা, সম্মান, আইন ও সংবিধানের প্রশ্ন। কিন্তু এখনো পদত্যাগ করা হয় নাই।’
জাগপা সভাপতি বলেন, ‘শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, নির্বাচনীব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন। এ জন্য তাকেও পদত্যাগ করতে হবে, যেটা আমরা অনেক আগে থেকেই চেয়ে আসছি।’
নির্বাচনী স্লোগান পাল্টিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘দেশে এতদিন একটি স্লোগান খুব জনপ্রিয় ছিল। সেটি হলো, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’। কিন্তু এখন সেই স্লোগান পাল্টিয়ে ফেলা হয়েছে, ‘তোমার ভোট আমি দেব, বুবুজানকে দিবই দিব’। যে দেশে এই স্লোগান চালু হয়েছে, সেখানে স্বাধীনতা কোথায়? আজকে এ প্রশ্ন দেশবাসীর।’
নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শফিউল আলম প্রধান বলেন, ‘আমরা আইয়ূব, ইয়াহিয়া ও স্বৈরাচারের শাসন দেখেছি। আমরা বাকশালও দেখেছি। সুতরাং হতাশ হওয়ার কিছুই নাই। এই জোয়ার-ভাটার দেশে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারি শাসন চলবে না, চলতে পারে না।’
বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
এছাড়া আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলেন জেরিন খান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারী, জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন