বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন
দেশে জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সর্ব-ধর্ম সম্মেলন
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় কৌশলের অংশ হিসাবে পুলিশ এক সর্ব-ধর্মীয় সম্মেলন করেছে।
ইসলাম, হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ধর্মীয় নেতারা সেখানে হাজির ছিলেন।
পুলিশ এবং সরকারের পক্ষ থেকে এসব ধর্মীয় নেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে মানুষের মধ্যে এরকম ধারণা ছড়িয়ে দেন যে কোনো ধর্মেই জঙ্গিবাদের স্থান নেই।
ঢাকার পর অন্যান্য শহরেও এরকম ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মেলন আয়োজন করার কথা জানানো হয়েছে।
ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকার একটি মসজিদের ইমাম মাজহারুল হক অংশ নেন ঢাকার সম্প্রীতি সম্মেলনে।
মি: হক মনে করেন, একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটানোয় জঙ্গি তৎপরতায় অনেক তরুণও জড়িয়ে পড়ছে, এর বিরুদ্ধে ইসলামের সঠিক বার্তা বা আদর্শ তুলে ধরা প্রয়োজন।
সম্মেলন থেকে তিনি জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে কথা বলার তাগিদ অনুভব করছেন।
“আমরা ইসলামের সঠিক বার্তা তুলে ধরলে বিপথগামীরা তাদের ভুল বুঝতে পারবে।”
মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষকদেরও অনেকে বলেছেন, তারা অনেকেই নামাজের আগে খুতবায় বা মাদ্রাসার ক্লাসে জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে কথা বলেন।
এখন বিষয়টাতে তারা আরও জোর দিতে চান। মাদ্রাসার একজন শিক্ষক বলেন, “ইসলাম এবং অন্য কোন ধর্মে মানুষ হত্যা এবং জঙ্গি তৎপরতার কোন জায়গা নেই। এ বিষয়টিই আমরা তুলে ধরছি।”
ব্লগার লেখক হত্যার পর জঙ্গিদের হামলার টার্গেট বিস্তৃত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুরাও জঙ্গীদের টার্গেট হচ্ছে।
ঢাকায় শিয়াদের চারশ বছরের ঐতিহ্যের তাজিয়া মিছিলেও হামলা হয়েছিল। সম্মেলনে অংশ নেয়া শিয়াদের একজন নেতা সৈয়দ আকতার হোসেন মনে করেন, শিয়া, সুন্নীসহ সকলের সম্প্রীতি ঠেকাতে পারবে চরমপন্থা।
সম্মেলনে অংশ নেয়া অনেকেই বলেছেন, জঙ্গি তৎপরতার ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মের কথা বলা হচ্ছে। সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্য ধর্মের মানুষ কিভাবে ভূমিকা রাখবেন।
ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিত ধ্রুবিয় সানন্দ বলেছেন, দেশের নাগরিক হিসেবে সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে, সম্মেলনের মাধ্যমে সেই বার্তা দেয়া হচ্ছে বলেই তিনি মনে করেন।
একের পর এক হত্যার ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে জড়িতদের চিহ্নিত করতে না পারার অভিযোগ সামনে আসছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেই প্র্রেক্ষাপটে পুলিশ বাহিনী ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মেলন করছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, পুলিশের আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি কৌশল হিসেবে জনসচেনতা সৃষ্টি এবং সামাজিক আন্দোলন জরুরি হয়ে পড়েছে। সে কারণে সব ধর্মের পক্ষ থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তির বার্তা তুলে ধরা হচ্ছে।
“আমরা সকলকে একত্রিত করে একথাটাই বলছি যে, কোন ধর্মে মানুষ হত্যার কোন বিধান নেই। তারপরও হত্যা করা হচ্ছে। কারা এটা করছে। কেন এটা করছে।সেই বার্তাই আমরা দিচ্ছি।” বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পুলিশের কর্মকর্তারা মনে করেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে কথা বললে, সেটা জঙ্গিদের চিহ্নিত করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে বড় সহায়ক হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন