দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ শুরু
দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (ষষ্ঠ-দ্বাদশ) শিক্ষার্থীদের নিয়ে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০১৭ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। এবার পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই প্রতিযোগিতা। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা পর্ব।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রতি উপজেলা থেকে বাছাইকৃত ১২ জন করে শিক্ষার্থী জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। একইভাবে জেলা পর্যায় থেকে নির্বাচিত ১২ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৮টি বিভাগ ও ঢাকা মহানগর থেকে ১২ জন করে নির্বাচিত মোট ১০৮ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। এখান থেকে ৪ বিষয়ে একজন করে ৩টি গ্রুপে মোট ১২ জনকে বছরের সেরা মেধাবী ঘোষণা করা হবে।
আজ থেকে শুরু হয়ে ১৯ ও ২০ মার্চ উপজেলা পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৩০ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ অনুষ্ঠিত হবে। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১২ জন শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগদ এক লাখ টাকা করে পুরস্কার, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করবেন। একইভাবে তাদের বিদেশ ভ্রমণের ব্যবস্থা করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে ২০১৩ সাল থেকে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পঞ্চমবারের মতো এবার সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০১৭ শুরু হচ্ছে। ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে।
সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গত ১৩ ও ১৪ মার্চ এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক বাছাই প্রতিযোগিতা শেষে তিন দিন উপজেলা পর্যায়ে, ২২ মার্চ জেলা পর্যায়ে, ২৩ মার্চ ঢাকা মহানগরে, ২৮ মার্চ বিভাগীয় পর্যায়ে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৩০ মার্চ রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে সকাল ৯টায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
৬ষ্ঠ থেকে ৮ম, ৯ম থেকে ১০ম ও একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির তিনটি ভাগে চারটি বিষয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। এগুলো হবে ভাষা ও সাহিত্য, দৈনন্দিন বিজ্ঞান/বিজ্ঞান, গণিত ও কম্পিউটার এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ে ৫০ নম্বরের মেধা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতি পর্যায়ে ৩টি গ্রুপে ৪টি বিষয়ে একজন করে সেরা শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ উদ্যোগে আয়োজন করে সেরা ১২ জনের নাম উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠায়।
শুধু জাতীয় পর্যায়ে মেধাবীদের পুরস্কৃত করা হবে তা-ই নয়, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সেরা ১২ জনকেও পুরস্কার প্রদান করা । সেরা মেধাবীদেরকে শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে ২০১৩ ও ২০১৬ সালে মালয়েশিয়ায় এবং ২০১৪ ও ২০১৫ সালে থাইল্যান্ড ভ্রমণে পাঠানো হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের
ঢাকার সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূস: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, এটি ত্রুটিপূর্ণ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা।বিস্তারিত পড়ুন
আইসিটি অধ্যাদেশ অনুমোদন, ধারণ করা যাবে বিচার প্রক্রিয়ার অডিও-ভিডিও
‘‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪’’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনবিস্তারিত পড়ুন